বিশেষ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: আম শিল্প ও আগামীর সম্ভাবনা বিষয়ে মতবিনিময় সভা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। সোমবার দুপুরে আম গবেষণা কেন্দ্রে সভার আয়োজন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশন।
সভায় আম উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পাঁচ উপজেলায় ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে আম উৎপাদন হয় ১২ লাখ ৫৯ হাজার ৯শ মেট্রিক টন। এ জেলায় মোট ১২ জাতের আম বাগান রয়েছে।
সোমবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত মত বিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। আম গবেষণা কেন্দ্রে আয়োজিত সভায় লিখিত বক্তব্যে বলা হয়-জেলায় মোট ফজলি আম উৎপাদন হয় ৭ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে। প্রতি হেক্টরে উৎপাদন ধরা হয়েছে ৪০ মে: টন। সে হিসেবে ফজলি আম উৎপাদনের মোট পরিমান ৩ লাখ ৭ হাজার ৬শ মেট্রিক টন।
ক্ষিরসাপাত ৩ হাজার ৯৬৫ হেক্টরে উৎপাদন হয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৭৫ মে:টন।
ল্যাংড়া ৩ হাজার ১৩০ হেক্টরে উৎপাদন হয় ৯৩ হাজার ৯০০ মে:টন।
গোপালভোগ ১ হাজার ৬২৫ হেক্টরে ৩৫ হাজার ৭৫০ মে:টন আম।
বোম্বাই ৯১১ হেক্টরে ২৭ হাজার ৩৩০ মে:টন। আশ্বিনা ৮ হাজার ৩৬৫ হেক্টরে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬০০ মে:টন।
লক্ষণভোগ ২ হাজার ১৫ হেক্টরে ৫০ হাজার ৩৭৫ মে:টন।
আম্রপালি ১ হাজার ২৯৩ হেক্টরে ১৯ হাজার ৩৯৫ মে:টন।
মল্লিকা ৭০ হেক্টরে ৮৪০ মে:টন। অন্যান্য উন্নত জাত ৩ হাজার ২১৫ হেক্টরে ৪৮ হাজার ২২৫ মে:টন।
গুটি ২ হাজার ৪৫৯ হেক্টরে ৪৯ হাজার ১৮০ মে:টন।
বারোমাসি ও নতুন বাগানের আম ১০ হাজার ২৬২ হেক্টরে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৯৩০ মে:টন। এসব আম উৎপাদনে কীটনাশক ব্যবহার করা হয় প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মুনজের আলম মানিক বলেন-প্রতি বছর শুধু ঝরে পড়া আম থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা সম্ভব। যার মধ্যে আমচুর হতে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা, আচার হতে চার হাজার কোটি টাকা,কাঁচা আমের পাউডার ও আমসত্ব থেকে এক হাজার কোটি টাকা, এছাড়াও পাকা ও শুকনো,আমের পাল্প ও আমসত্ব থেকে আয় করা সম্ভব। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.