চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম শিল্প ও আগামীর সম্ভাবনা বিষয়ে মতবিনিময়

বিশেষ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: আম শিল্প ও আগামীর সম্ভাবনা বিষয়ে মতবিনিময় সভা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। সোমবার দুপুরে আম গবেষণা কেন্দ্রে সভার আয়োজন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব আবু বক্কর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ আম গবেষণা কেন্দ্রের মূখ্যবৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোখলেসুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্র সারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচাক ড. পলাশ সরকার, হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক ড. বিমল প্রামানিক, সাবেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্ত ড. জমির উদ্দিন, কৃষি উদ্যোক্তা মুনজের আলম মানিকসহ স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মী, আম সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা।
সভায় আম উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পাঁচ উপজেলায় ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে আম উৎপাদন হয় ১২ লাখ ৫৯ হাজার ৯শ মেট্রিক টন। এ জেলায় মোট ১২ জাতের আম বাগান রয়েছে।
সোমবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত মত বিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। আম গবেষণা কেন্দ্রে আয়োজিত সভায় লিখিত বক্তব্যে বলা হয়-জেলায় মোট ফজলি আম উৎপাদন হয় ৭ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে। প্রতি হেক্টরে উৎপাদন ধরা হয়েছে ৪০ মে: টন। সে হিসেবে ফজলি আম উৎপাদনের মোট পরিমান ৩ লাখ ৭ হাজার ৬শ মেট্রিক টন।
ক্ষিরসাপাত ৩ হাজার ৯৬৫ হেক্টরে উৎপাদন হয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৭৫ মে:টন।
ল্যাংড়া ৩ হাজার ১৩০ হেক্টরে উৎপাদন হয় ৯৩ হাজার ৯০০ মে:টন।
গোপালভোগ ১ হাজার ৬২৫ হেক্টরে ৩৫ হাজার ৭৫০ মে:টন আম।
বোম্বাই ৯১১ হেক্টরে ২৭ হাজার ৩৩০ মে:টন। আশ্বিনা ৮ হাজার ৩৬৫ হেক্টরে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬০০ মে:টন।
লক্ষণভোগ ২ হাজার ১৫ হেক্টরে ৫০ হাজার ৩৭৫ মে:টন।
আম্রপালি ১ হাজার ২৯৩ হেক্টরে ১৯ হাজার ৩৯৫ মে:টন।
মল্লিকা ৭০ হেক্টরে ৮৪০ মে:টন। অন্যান্য উন্নত জাত ৩ হাজার ২১৫ হেক্টরে ৪৮ হাজার ২২৫ মে:টন।
গুটি ২ হাজার ৪৫৯ হেক্টরে ৪৯ হাজার ১৮০ মে:টন।
বারোমাসি ও নতুন বাগানের আম ১০ হাজার ২৬২ হেক্টরে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৯৩০ মে:টন। এসব আম উৎপাদনে কীটনাশক ব্যবহার করা হয় প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মুনজের আলম মানিক বলেন-প্রতি বছর শুধু ঝরে পড়া আম থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা সম্ভব। যার মধ্যে আমচুর হতে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা, আচার হতে চার হাজার কোটি টাকা,কাঁচা আমের পাউডার ও আমসত্ব থেকে এক হাজার কোটি টাকা, এছাড়াও পাকা ও শুকনো,আমের পাল্প ও আমসত্ব থেকে আয় করা সম্ভব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.