চন্দ্রমহল ইকোপার্ক থেকে বন্যপ্রাণী-হরিণ’র চামড়া উদ্ধার

বাগেরহাট প্রতিনিধি: মোংলা-খুলনা মহাসড়কের পাশে চন্দ্রমহল ইকোপার্কে অভিযান চালিয়ে বন্যপ্রাণী ও অবৈধ হরিণের চামড়া উদ্ধার করেছে র‌্যাব। গতকাল সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকালে র‌্যাব-৬ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তর মহাসড়কের পাশে সোনাতুনিয়া এলাকায় চন্দ্রমহল ইকোপার্কে এই অভিযান পরিচালনা করে।
এ ঘটনায় চন্দ্রমহল কতৃপক্ষকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুর-ই-আলম সিদ্দিকী।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের এদিন অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা হরিণের চামড়া ৬টি, ভাল্লুকের চামড়া ১টি, কুমির ১টি, ক্যাঙ্গারুর চামড়া ১টি, তিমির কংকাল ১টি, অষ্টেলিয়ান ঘু-ঘু ৫টি, হরিণের শিং ৬টি, উটপাখি ৬টি, ময়ুর ১টি, মাছমুড়াল পাখি ২টি, বক ৭টি, বানর ৫টি ও কচ্ছপ ২টি জব্দ করেন।
এসময় উপরোক্ত চামড়া ও বন্যপ্রাণীর কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১২ এর ৩৭(২) ৪০. ৩৪(খ). ২৪ এর অপরাধে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। কিন্তু নগত ৫০ হাজার টাকা প্রদান করায় পার্কের ম্যানেজার মো. মহব্বর আলী চাকলাদার-কে ছেড়ে দেওয়া হয়।
র‌্যাব-৬ এর পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বিটিসি নিউজকে বলেন, বাংলাদেশ সরকারের ডেল্টা প্লান অনুযায়ী র‌্যাব ফোর্সেস জাতীয় ইস্যুকে প্রটেস্ট করার জন্য বদ্ধ পরিকর। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বেআইনিভাবে বন্যপ্রাণী রাখার কারণে এখানে ৪৩টি প্রাণী আমরা জব্দ করেছি। বন্যপ্রাণীকে বেআইনিভাবে আটকে রাখলে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে র‌্যাব একবিন্দু পিছপা হবে না। এখানে পাওয়া কুমির ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীকে সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর মাধ্যমে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনা এর পরিচালক রাজু আহম্মেদ ও কর্মকর্তা তন্ময় আচার্যসহ র‌্যাব-৬ এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগেরহাট প্রতিনিধি মাসুম হাওলাদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.