ঘুর্নিঝড় আম্ফানে মোংলার নদী ভাঙ্গন এলাকায় পরিদর্শনে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার

বাগেরহাট প্রতিনিধি: ঘুর্নিঝড় আম্ফানে মোংলার নদী ভাঙ্গন এলাকায় পরিদর্শনকালে সরকারে নির্দেশনা বাংলাদেশের কোন মানুষ গৃহহীন থাকবেনা ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার খুলনা বিভাগীয় কমিশনার একথা বলেন।

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের কানাইনগর আবাসন থেকে দক্ষিণ কাইনমারী প্রায় ২.৫ কি.মি. বেড়ীবাঁধ পরিদর্শনে অসহায় ও কর্মহীন মানুষের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা প্রদান, বুড়িরডাংগা ইউনিয়নের জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন, দিগরাজ খেয়াঘাট এলাকায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা এবং রামপাল উপজেলার হযরত খান জাহান আলী বিমানবন্দরের নির্মাণ কার্যক্রম গতকাল সোমবার পরিদর্শন করেন।

বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। তিনি বলেন সম্প্রতি উপকুলীয় এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘুর্নিঝড় আম্ফানে এ এলাকায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

অনেক জেলে তার জাল নৌকা হারিয়েছে, বসত ঘর হারিয়েছে, নদী পাড়ে বসবাসকারীদের ঝড়ের সময় নদীর বাঁধ ভেঙ্গে পানি উঠে বসত ঘরের সব কিছুই ভাসিয়ে নিয়ে গেছে, হারিয়েছে তাদের সহায় সম্বলটুকু।

আমরা তাদের তালিকা তৈরী করেছি, ঘুর্নিঝড় আম্ফানে উপকুলীয় এলাকায় নদী ভাঙ্গনে বাড়ীঘরে পানি ঢুকছে এটা কষ্টদায়ক। সরকারের নির্দেশনায় ও আমাদের তদারকির প্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।

নদী ভাঙ্গনে পানি উন্নয়ন বোর্ডে ভেড়ীবাঁধ নির্মান কাজ টেকসই হতে হবে, যাতে এ এলাকার মানুষ ঘুর্নিঝড়ের সময় নির্ঘুম রাত কাটতে না হয়।

গতকাল সোমবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ বাগেরহাটের মোংলার কানাইনগরের পশুর নদীর ভাঙ্গনকূল এলাকা পরিদর্শনকালে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সরকারে নির্দেশনা বাংলাদেশের কোন মানুষ গৃহহীন থাকবেনা। সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং তৎক্ষনিক সল্প মেয়াদী সহায়তাও দেয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের।

গতকাল সোমবার দুপুরে নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনকালে বিভাগীয় কমিশনার উপকুলীয় এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়নকর্মী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে কথা বলেন।

খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের সাথে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশিদ, মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাহাত মান্নান, সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ আসিফ ইকবাল,মোংলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান. সহকারি কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার রাজবংশী, চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মোঃ তারিকুল ইসলামসহ সরকারী ও রামপাল- মোংলা; স্থানীয় জনপ্রতিনিধি গন্যমান্য ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে ভাঙ্গনকূল পরিদর্শনের আগে বিভাগীয় কমিশনার ন্যাজরীন মিশন কর্তৃক ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে প্রধান অতিথি হিসেবে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগেরহাট প্রতিনিধি মাসুম হাওলাদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.