গাইবান্ধায় অর্থের অভাবে চিকিৎসা ব্যহত এক প্রসূতি নারীর 

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: অর্থ অভাবে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বড় জামালপুর গ্রামের লাভলী বেগম (২৬) নামের এক প্রসূতি নারী। টাকার অভাবে এ নারীর চিকিৎসা বন্ধের পথে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে বাঁচার আকুতি নিয়ে বসে ছিলেন লাভলী বেগম। বছর খানেক আগে লাভলী বেগম গর্ভাবস্থায় কোমরের নিচে ফুলে যায়। এ অবস্থায় গত ২২ অক্টোবর গাইবান্ধার একটি ক্লিনিকে সিজারিয়াশনের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন লাভলী। এরপর থেকে ফুলা বাড়তে থাকে।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে গত বছরের ৩০ নভেম্বর রংপুর মেডিকেলে অ্যান্ড কলেজ হাসপাতালে অর্থসার্জারি বিভাগে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। কিন্তু তার শরীরের কোনও উন্নতি হয়নি। এদিকে তার চিকিৎসায় লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। আর এ খরচ যোগাতে গরু-ছাগল বিক্রি ও বিভিন্নভাবে তাকে ঋণ নিতে হয়েছে।
বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের সহকারি অধ্যাপক ডা. জাহান আফরোজ লাকীর তত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি জানান, লাভলীর কোমড়ে হাড় বৃদ্ধি হয়েছে। তাকে সুস্থ করতে অনেক অর্থের প্রয়োজন। এছাড়া লাভলীকে ৬টি থেরাপি ও ৫ ব্যাগ রক্ত দিতে হবে।
এমতাবস্থায় লাভলীর দিনমজুর পিতা ও স্বামীর পক্ষে এতো টাকা যোগান দেওয়া মোটেও সম্ভব নয়। ইতোমধ্যে তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃশ্ব হয়ে পড়েছে তারা। তাই এখন অর্থের অভাবে আটকে গেছে লাভলীর চিকিৎসা।
অসুস্থ লাভলী বেগম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছেন। বর্তমানে তার ৬টি থেরাপি ও ৫ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন। একটি থেরাপি ও এক ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছে। একবার থেরাপী নিতে সর্বমোট ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। বর্তমানে টাকার অভাবে অবশিষ্ট থেরাপি ও রক্ত নিতে পারছেন না।
লাভলীর বাবা নাছির উদ্দিন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, মেয়ের চিকিৎসার জন্য এক লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আরো অনেক টাকার প্রয়োজন। যা যোগার করা অসম্ভব। এছাড়াও তার ‘ও’ পজেটিভ গ্রুপের রক্তও প্রয়োজন রয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.