গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ঝুঁকিপুর্ণ বাঁশের সাঁকো একমাত্র ভরসা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:  গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরখোর্দ্দা ও লাটশালা গ্রামে যাতায়াতে ঝুঁকিপুর্ণ বাঁশের সাঁকো একমাত্র ভরসা। বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি জেনেও পারাপার হচ্ছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চরখোর্দ্দা ও লাটশালা গ্রামের শতশত মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম একটি বাঁশের সাঁকো। প্রতিদিন এই সাঁকোটি দিয়ে ওই এলাকার শতশত মানুষ পারাপার করছেন। খোর্দ্দা গ্রামের ইমামগঞ্জ বাজারের পূর্বপাশেই তাম্বুলপুর ছড়া নদীর উপর বাঁশের সাকোটি এলাকাবাসীর সহযোগীতায় গত দুই বছর আগে নির্মিত হয়।
নির্মাণের পর থেকে মেরামত না করায় বর্তমানে নড়বরে হয়ে পড়ে। এই সাঁকোটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ভুগছেন চলাচলকারীরা। প্রতিদিন হাট-বাজার সহ স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থীরা এ সাঁকো দিয়ে পারাপার করে আসছে। দু’পাড়ের মানুষের সুবিধার্থে স্বেচ্ছাশ্রমে ও নিজেদের অর্থায়নে বাঁশের সাকোটি নির্মাণ করেন। ওই পথ দিয়েই পাশ্ববতী কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ গাইবান্ধাসহ বিভাগীয় শহর রংপুর যাতায়াত করে থাকেন।
খোর্দ্দার চরের আঃ রশিদ বিটিসি নিউজকে বলেন, সাঁকোটি দিয়ে যখন শিশু শিক্ষার্থীরা পারাপার হয় তখন উৎকন্ঠায় চেয়ে দেখি। জ্যোৎনা বেগম নামে এক অভিভাবক বিটিসি নিউজকে জানান, তার স্বামী জীবিকার তাগিদে বাইরে থাকেন। তাই তার দুই শিশুর স্কুল যাতায়াতের সময় সাঁকোটি পর্যন্ত যেতে হয়।
বর্তমানে মেরামত করার অভাবে দিনদিন সাকোটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ওই অঞ্চলের ভুক্তভোগীদের দাবী জরুরী ভিত্তিতে সাঁকোর স্থলে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হোক।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মুনছুর বিটিসি নিউজকে জানান, ইতোমধ্যে উপজেলায় সর্বমোট ১শ মিঃ দীর্ঘ ব্রীজের তালিকা করা হয়েছে। সে খানে চরখোর্দ্দা ও লাটশালা গ্রাম উল্লেখ করা হয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.