গাইড বইয়ের রমরমা বাণিজ্যের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতোর কঠোর হুশিয়ারী

বিশেষ প্রতিনিধি: বই উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই সারা দেশের ন্যায় রাজশাহীর তানোর উপজেলার বিভিন্ন লাইব্রেরী বা বইয়ের দোকান গুলোতে গোপনে ও প্রকাশ্যে শুরু হয়েছে নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের রমরমা বাণিজ্য। বেশ কয়েক দিন ধরে তানোরের বিভিন্ন বই বিতান ও লাইব্রেরি গুলোতে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

সচেতন মহলের অভিযোগ, তানোর উপজেলা প্রশাসনের নজরধারী ও মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় অসাধু বই ব্যবসায়ীরা সবাইকে ঘুমিয়ে রেখে প্রশাসনের নাকের ডগায় গাইড বই বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, সরকারি বই বিতরণের পর থেকে তানোর উপজেলা সদরের গোল্লাপাড়া বাজার ও থানা মোড় এলাকার বইয়ের দোকানগুলোতে গাইড বই বিক্রির রমরমা ব্যাবসা চলছে।

এছাড়াও মুন্ডুমালা বাজার, বিল্লি বাজার, তালন্দ বাজার, কালিগঞ্জ বাজার ও চাঁন্দুড়িয়া বাজারসহ বেশ কিছু এলাকায় নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছেন এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। এ ব্যবসার সঙ্গে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, তানোরে লাইব্রেরী বা বইয়ের দোকান গুলোতে ২য় শ্রেণীর অনুপম, লেকচার গাইড বই বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত।

৩য় শ্রেণীর অনুপম ও লেকচার গাইড বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা, ৪র্থ শ্রেণীর অনুপম, লেকচার ও পাঞ্জেরি গাইড বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা হইতে উর্দ্ধে ৩৭০ টাকা পর্যন্ত।

৫ম শ্রেণীর লেকচার, অনুপম ও পাঞ্জেরী গাইড বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত। ৬ষ্ঠ শ্রেণীর অনুপম, লেকচার ও পাঞ্জেরী গাইড বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬২০ টাকা পর্যন্ত।

৭ম শ্রেণী ও ৮ম শ্রেণীর লেকচার, অনুপম ও পাঞ্জেরী বই বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

তানোর উপজেলাজুড়ে অবাধে নিষিদ্ধ গাইডবই বিক্রির কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ভুক্তভোগী সচেতন মহল তানোরের বিভিন্ন লাইব্রেরী বা বইবিতান গুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে, তানোর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমিরুল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, গাইড বই বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু গাইড বই বিক্রি থেমে নেই। এটা অস্বিকার করা যায় না। কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার ক্ষমতা নেই।

তিনি আরও বলেন, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা এটা ইউএনও স্যারের ব্যাপার। তবে, বিষয়টি নিয়ে ইউএনও মহোদয়কে অবগত করা হবে বলে জানান শিক্ষা অফিসার আমিরুল ইসলাম।

এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতোর সাথে আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে মুঠোফোন কথা হলে তিনি এই নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.