খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (দুদক) এর অভিযান

খুলনা ব্যুরো:  খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-(দুদক)।গতকাল সোমবার (২০ জানুয়ারী) সহকারী পরিচালক শাওন মিয়ার নেতৃত্বে খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দল  এ অভিযান চালায়।

অভিযানকালে খুমেক হাসপাতালের বহি:বিভাগের ডা: সুমন রায়ের কক্ষে গিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার পর তার হাসপাতালে আসার বিষয়ে দুদকের জেরার মুখে পড়েন তিনি। এসময় তিনি বলেন, একটি মিটিংয়ে থাকায় তার আসতে দেরি হয়েছে। এসময় তার টেবিলে একাধিক ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সর্ট স্লিপ পাওয়া যায়। দুদুকের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তিনি একটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নিয়মিত রোগী দেখেন বলেও জানান।
এছাড়া ডা: শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের কক্ষে গিয়েও নগরীর বাবুখান রোডের একটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সর্ট স্লিপ পায় দুদকের টিম। তিনি ওই ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নিয়মিত রোগী দেখেন বলেও দুদকের কাছে অভিযোগ রয়েছে। এর সত্যতাও পাওয়া যায় তাৎক্ষণিক এক রোগীর কাছ থেকে।
বহি:বিভাগের আরও কয়েকজন চিকিৎসকের কক্ষে অভিযান শেষে দুদকের টিমটি যায় আন্ত:বিভাগে। সেখানেও রোগীদের কাছ থেকে বাইরের ডায়াগনষ্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রমাণ পাওয়া যায়। ময়না তদন্ত কক্ষে গিয়ে দেখা যায় একজন আউটসোর্সিং কর্মচারী হাসপাতালের একটি কক্ষ দখল করে কফিন ব্যবসা করছেন। এতে ওই কর্মচারীকে বাদ দেয়ার সুপারিশ জানায় দুদক।

দুদকের টিমের কাছে এসময় হাসপাতালের ওয়ার্ড মাষ্টার জানান, আউটসোর্সিং সরবরাহকারী ঠিকাদারের কাছে হাসপাতালের স্থায়ী কর্মচারীরা অনেকটা জিম্মি। হাসপাতালের ডিউটি রোষ্টারও ওই ঠিকাদার করে থাকেন বলেও তিনি দুদকের কাছে অভিযোগ করেন।
দুদকের টিম অভিযান শেষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অনিয়ম দূর করার আহবান জানায়। তবে এসময় দুদক টিমের কাছে হাসপাতালের পরিচালক ডা: এটিএম এম মোর্শেদ বলেন, তিনি অনেক চেষ্টা করছেন হাসপাতালের পরিবর্তন আনতে। কিন্তু একার পক্ষে অনেক কিছুই সম্ভব নয়। তার পরেও ইতোমধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.