খুলনায় হলফনামা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে

 

বিটিসি নিউজ ডেস্ক : হলফনামা নিয়ে তুমুল বিতর্কে জড়িয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা  খুলনা  সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে হলফনামায় আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যাংক, ইউনিভার্সিটি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আয়ের তথ্য গোপনের অভিযোগ এনেছে বিএনপি। পাল্টা জবাবে আওয়ামী লীগ নেতারা গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর বিলাসী জীবনযাপন ও আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। জানা যায়, খুলনায় সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই হেভিওয়েট মেয়র প্রার্থী প্রচারণায় থাকায় শুরু থেকেই এখানে রয়েছে নির্বাচনী উত্তাপ। সেই সঙ্গে হলফনামা নিয়ে বিতর্ক বাড়তি উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে ১৬ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনে দেয়া তথ্য গোপনের অভিযোগ বিএনপির।

বিএনপির খুলনা মহানগর কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট, নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনির্ভাসিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং ইস্টার্ন পলিমার লিমিটেডের পরিচালক ও সর্বময় নিয়ন্ত্রণকারী। এখান থেকে নিয়মিত তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করেন। কিন্তু হলফনামায় এসব তথ্য গোপন করে নির্বাচন বিধিমালা ভঙ্গ করেছেন।’ বিএনপির অভিযোগের জবাবে গতকাল দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মেয়র প্রার্থী ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকে বৈধভাবে আমার যা ইনকাম ও শেয়ার আছে, তা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে বিস্তারিত দেওয়া আছে। নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আমি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান।

কিন্তু ইউজিসির নিয়ম অনুসারে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান কোনো আর্থিক সুযোগ নিতে পারেন না। এ ছাড়া ইস্টার্ন পলিমার লিমিটেডের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে এনবিআর ও ইনকাম ট্যাক্সের বিভিন্ন সমস্যা হয়েছে। এখানে আমাদের অনেক লোক কাজ করেন। এ কারণে আমি বিভিন্ন সময়ে এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ অবলম্বন করেছি, এর মানে এই নয় ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক আছে।’

এদিকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘তিনি (মঞ্জু) তার বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন দুই লাখ টাকা। সে হিসাবে মাসিক আয় হয় ১৫/১৬ হাজার টাকা। কিন্তু তিনি দেড় কোটি টাকা দামের গাড়িতে চড়েন। সেই গাড়ির ফুয়েল, ড্রাইভারের বেতন, বাড়িভাড়া, সংসারের খরচ— সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর অর্থের উৎস কোথায়?’ তবে জাতীয় সংসদের এমপি থাকা অবস্থায় ফ্রি ট্যাক্সে এই গাড়িটি কিনেছেন বলে দাবি করেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তিনি বলেন, ‘যখন গাড়িটি কেনা হয় তখন পৌনে ৪ লাখ টাকা আমি দিয়েছি, বাকি ১৯ লাখ টাকার কিছু বেশি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হয়েছে। এমপি থাকা অবস্থায় প্রাপ্ত ভাতার টাকায় ওই ঋণ শোধ দেয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে তালুকদার আবদুল খালেকের মনোনয়নপত্র বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.