খুলনায় লকডাউন সফলে ৬৪স্থানে ব্যারিকেড কঠোর অবস্থানে পুলিশ (ভিডিও)

খুলনা ব্যুরো: খুলনার রেড জোনে লকডাউন সফল করতে ১৭ ও ২৪ নং ওয়ার্ড ও জেলার রূপসা উপজেলার আইচগাতি ইউনিয়নে ঢোকার বিভিন্ন রাস্তায় ৬৪ টি ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ২৪ ঘন্টা পাহারার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। লকডাউন এলাকায় বিভিন্ন বিধিনিষেধ পালনে কঠোর হওয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম বলেন, রেড জোনে ঢোকা-বের হওয়ার ক্ষেত্রে দারুণ কড়াকড়ি করা হবে। লকডাউন সফল করতে ১৭ ও ২৪নং ওয়ার্ডের ৫৪টি সড়কের প্রবেশ দ্বারে ব্যারিকেড দিয়ে রাখা হয়েছে। এসব স্থানে লকডাউন শুরু থেকে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ মোতায়েন থাকবে। বাইরের লোককে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এলাকা থেকেও যাতে বাইরে কেউ বের হতে না পারেন সে ব্যাপারেও সজাগ দৃষ্টি রাখবে পুলিশ।
আজ শুক্রবার (২৬ জুন)  সকালে নিরালা মোড়ে লকডাউন বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং কালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন বিষয়ে অবহিতকালে এসব কথা বলেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ১৭ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং রূপসা উপজেলার আইচগাতি ইউনিয়নকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সব এলাকায় বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১১টা ৫৯ মিনিট থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে। যা ১৬ জুলাই দিবাগত রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত (২১ দিন) পর্যন্ত চলবে। এ সময় এ ৩টি এলাকা ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত হবে এবং বিধিনিষেধ জারি থাকছে।
এদিকে, মহানগরীর ১৭ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং আইচগাতি ইউনিয়নের ৬৪টি সড়কের প্রবেশ দ্বারে ব্যারিকেড দিয়ে রাখা হয়েছে। এসব স্থানে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় লকডাউন পালনে ।
অপরদিকে, লকডাউন সফলভাবে পালন করতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। ১৭নং ওয়ার্ডের ২৪টি পয়েন্টে ও ২৪নং ওয়ার্ডের ৩০টি পয়েন্টে বাঁশ (সড়কে ব্যারিকেড) দেওয়া হয়েছে। আইচগাতীর ১০টি পয়েন্টে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৬টি ঘাটে ট্রলার চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে। লকডাউন ভেঙে যাতে কেউ বাইরে না বের হন সে ব্যাপারে সতর্কতামূলক প্রচারও চলছে।
এদিকে, পুরোপুরি লকডাউন কার্যকর করতে বিধিনিষেধ জারি করেছেন খুলনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। বিধি নিষেধের মধ্যে রয়েছে- রেডজোনে বসবাসকারী চাকরিজীবীরা বাসায় থেকে অফিসের কাজ করবেন।
জরুরী প্রয়োজনে (ওষুধ ক্রয়) অনুমতি সাপেক্ষে বাসা থেকে বের হওয়া যাবে। রিকশা, ভ্যান, সিএনজি, ট্যাক্সি, মটরসাইকেল, নিজস্ব গাড়িসহ কোনও যানবাহন চলবে না। অ্যাম্বুলেন্স সেবা এই আদেশের আওতাবহির্ভূত থাকবে।
এসব এলাকায় কলকারখানা বন্ধ থাকবে। অতি জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়ার ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। কোন ধরনের জনসমাবেশ করা যাবে না। কেবলমাত্র অসুস্থ ব্যক্তি হাসপাতালে যেতে পারবেন। রেড জোনে অন্য এলাকা হতে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।
রেড জোনে কেবল মুদি দোকান আর ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। রেস্টুরেন্ট ও খাবার দোকানে কেবলমাত্র হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু থাকবে। তবে শপিংমল, সিনেমা হল, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
মসজিদ ও উপাসনালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইবাদত করতে পারবেন। অন্যরা নিজ নিজ বাড়িতে ইবাদত করবেন। তবে, সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড ও কাঁচাবাজার এর আওতামুক্ত থাকবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.