খুলনায় মাছের ঘেরে তেল পড়ে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি
খুলনা ব্যুরো: জীবনের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে কিছু জমি লিজ নিয়ে মাছের ঘের করেছিলেন তিন ব্যক্তি যথাক্রমে মো: ফেরদৌস ফকির, আব্বাস আলী ও মো: মোস্তফা ভূইয়া। খুলনা মহানগরীর লবনচরা এলাকার র্যাব-৬ ও নৌবাহিনী অফিসের পেছনের এ ঘেরের এক পাশে ওহাব জুট মিল নামের আরও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
বিগত কয়েক বছর ঘের করে ওই তিন ব্যক্তি কিছু অর্থ উপার্জন করে সংসার চালান। কিন্তু সম্প্রতি ওই জুট মিলের বর্জ্য তেলের কারনে সব মাছ মরে গেছে। এতে ঘের করা ওই তিন ব্যক্তিই এখন দিশেহারা। সরোজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, রুই,কাতলা, মৃগেল, বাগদা, গলদা, বাটা, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের ওই ঘেরটির পানির ওপর তেল ভাসছে। ভাসছে মরা মাছগুলোও। অনেক মরা মাছ ইতোমধ্যে স্থানীয়রা ধরে নিয়ে গেছে। তেলের কারনে ঘেরের পানির রং কালো হয়ে গেছে। অন্যান্য আগাছাগুলোও পুড়ে গেছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে র্যাব-৬এর অধিনায়ক ও লবনচরা থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জুট মিলের তেলের কারনে ঘেরের প্রায় আড়াই লাখ টাকার মাছ মারাগেছে।
জমির মালিককে প্রতি বছর দেড় লাখ টাকা হারি দিয়ে তারা ঘের করছেন উল্লেখ করে বলেন, সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে তারা ওই ঘের করছেন। কিন্তু পার্শ্ববর্তী মিল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন ভ্রুক্ষেপ না করায় তারা প্রতিনিয়তই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে ওহাব জুট মিলের শ্রম কর্মকর্তা ও এইচআর মো: আলমগীর খান বলেন, মিলের এজিএম ও সিকিউরিটি অফিসার মিলে এক ড্রাম তেল পার্শ্ববর্তী ঘেরে ফেলে নিজেরা বাঁচতে চেয়েছিলেন এমডির হাত থেকে।
কিন্তু বিষয়টি হিতে বিপরিত হয়ে গেছে। এজন্য তিনি ঘের মালিকদের ক্ষতিপূরণও দিতে বলেছিলেন। কিন্তু তার কথা শোনা হয়নি। বিষয়টি অনেকটা জুলুম বিধায় তিনি গতকালই সেখান থেকে চাকরী ছেড়ে ঢাকায় চলে গেছেন।
এ ব্যাপারে মিলের এজিএম ও প্রকল্প প্রধান আমিনুল ইসলাম বলেন, শ্রম কর্মকর্তা এইচআর চাকরী ছেড়ে চলে গেছেন ঠিকই কিন্তু কোন কারন উল্লেখ করেননি। পাশ্ববর্তী ঘেরে তেলপড়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ঘেরে কিছু তেল আছে। মিলের আলাদা ড্রেনও আছে। কিভাবে সেখানে তেল পড়ল সেটি দেখা হচ্ছে। ঘেরে তেল যাওয়ার কোন লাইন পাওয়া যাচ্ছে না বলেও তিনিজানান। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.