খুলনায় বন্দুকযুদ্ধে ২ মাদক বিক্রেতা নিহত

 

খুলনা ব্যুরো: পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নগরীতে দুইজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত সোয়া ৩টার দিকে নগরীর বাগমারা ব্যাংকার্স লেন এলাকায় ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত দু’জন হলেন নগরীর প্রান্তিকা আবাসিক এলাকার ভাড়াটিয়া মোঃ সুলতান শেখের ছেলে মোঃ মানিক শেখ (২৫) ও বাগমারা এলাকার মো. বাবুল শেখের ছেলে রাজু শেখ (৩৬)।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি তৈরি পাইপগান, দুটি বন্দুকের গুলি, দুটি লম্বা ছোরা, দুটি রামদা ও একটি পলিথিনের প্যাকেটে মোড়ানো ১৫০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে।

পুলিশের দাবি, নিহত দুজন মাদক ব্যবসায়ী। এর মধ্যে রাজুর বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদকদ্রব্য নিয়স্ত্রণ আইনে ৪টি ও মানিকের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রয়েছে। গত ১৮ জুন সদর থানায় হওয়া পুলিশের সোর্স ওবায়দুল হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি রাজু। ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে মারা যাওয়ার আগে ওবায়দুল রাজুর নাম উল্লেখ করে যায়।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সোনালী সেন বলেন, রাজু ও মানিকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মাদক ও হত্যা মামলা রয়েছে। ওবায়দুল ওই এলাকার মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে রাজুর নাম পুলিশের কাছে দেয়। এ কারণে ওবায়দুলের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল রাজু। গত ১৮ জুন বিকেলে পরিকল্পিতভাবে ওবায়দুলকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে রাজু ও তাঁর লোকজন। ৫ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ওবায়দুল। ওই ঘটনার পর থেকে রাজু ও মানিক পলাতক ছিল।

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার সকালে রাজু ও মানিককে ঢাকার ডেমরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটকের পর তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাত সোয়া ৩টার দিকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে বাগমারা মেইন রোড এলাকায় গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে অন্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে ওই ২ জনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাঁদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে বাগমারা এলাকার কুখ্যাত মাদক বিক্রেতা ও সন্ত্রাসী গ্রুপের নেতা রাজু শেখ ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ায় ওই এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারা রাজুর অনুসারীসহ অন্যান্য এলাকায়গুলোতে এখনো যারা মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান শুরুর দাবি জানিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ঈদের আগে মাদক বিরোধী অভিযানের সময় অনেক মাদক বিক্রেতা এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু ঈদের পরে তারা এলাকায় ফিরে এসেছে। পূর্বের পয়েন্টগুলোতে এখনো অনেক মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের ভিড় করতে দেখা যাচ্ছে। ওই সব এলাকায় অভিযান চালিয়ে দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে স্থায়ীভাবে মাদক নির্মূলে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তারা।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.