খুলনায় ছাত্রলীগ নেতাকে পাওনাদারের মারপিট

খুলনা ব্যুরো: বিদেশে লোক পাঠানোর নামে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খুলনার কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকুকে মারপিট করেছে পাওনাদাররা।

আজ রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর মুসলমানপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সেখানে পাওনা পরিশোধের লিখিত আশ্বাস দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম বাহার বুলবুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, ২০১৫ সালে শরিফুল ইসলাম টিংকু ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে নগরীর বয়রা এলাকার মো. রোকন, উজ্জল, হাসান, ইয়াছিনসহ কয়েকজনকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা নেন। কিন্তু তাদেরকে বিদেশে না পাঠিয়ে ওই টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন।

এ ঘটনায় খুলনা প্রেসক্লাবে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করেন পাওনাদাররা। তবে ওই টাকা ফেরৎ দেননি টিংকু। এদিকে আজ রবিবার বিকেলে নগরীর মুসলমানপাড়া এলাকায় একটি ছাত্রাবাসে এলে টিংকুকে আটক করে পাওনাদাররা। এখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে টিংকুকে মারধর করা হয়।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম বাহার বুলবুল বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, হাতাহাতিতে টিংকুর কপাল ও হাতে আঘাত লেগেছে। থানায় আনার পর পাওয়ার পরিশোধের লিখিত আশ্বাস দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ইয়াসিন বলেন, শরিফুল ইসলাম টিংকু বিদেশ পাঠানোর নাম করে দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের কয়েক লক্ষ টাকা আটকে রেখেছেন। তিনি খুলনায় আসলে আমরা তাকে ধরে নিয়ে থানায় ওসির কাছে সোপর্দ করি। ওসি উভয় পক্ষের কথা শুনে টাকা ফেরত দেওয়ার শর্তে তাকে ছেড়ে দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, এসব তার বিরুদ্দে ষড়যন্ত্র। তাকে ফাসাতে নাটক সাজানো হয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.