ধামইরহাটে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তন করলেন স্ত্রী

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর ধামইরহাটে ক্ষোভের বসে স্বামীর লিঙ্গ শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রীর (৪২) বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাকত রয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার দেউলবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর ওই ভুক্তভোগী স্বামী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় আজ রোববার (১০ মে) দুপুরে ভুক্তভোগীর বড় ভাই হাফিজ উদ্দিন তার ভাইয়ের স্ত্রীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর যাবৎ স্বামী-স্ত্রী সংসার করছেন। সংসার জীবনে তিন ছেলেমেয়ে। সাংসারিক জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় কলোহ হতো। এরই ধারাবাহিকতায় ভুক্তভোগী স্বামী গতকাল শনিবার রাতের খাবার খেয়ে সাড়ে ১১টার দিকে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন।

ঘুমানোর কিছু পর ভুক্তভোগীর স্ত্রী ক্ষোভের বসে ধারালো হাসুয়া দ্বারা শরীর থেকে স্বামীর লিঙ্গ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

ঘটনার পর ভুক্তভোগী স্বামী যন্ত্রনায় চিৎকার শুরু করেন। বিষয়টি জানার পর ভুক্তভোগীর বড় ভাই হাফিজ উদ্দিন ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ভাইকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। বর্তমানে ভুক্তভোগী সেখানেই চিকিৎসাধীন।

ভুক্তভোগীর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সেলিনা আক্তার অভিযোগ করে বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, বড় ভাইকে (ভাসুর) খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ খাওয়ানো হয়। এরপর ঘুমিয়ে পড়লে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়।

ধামইরহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিম হাসান সরদার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ধামইরহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাশিক চিকিৎসক (আরএমও) ডাঃ আরাফাত ইমাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, লিঙ্গ শরীর থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়নি। তবে প্রচন্ড জখম হয়ে রক্তপাত হয়েছে। আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে সেলাই দেয়া হয়েছে। রোগী আগের তুলনায় অনেকটা সুস্থ রয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নওগাঁ প্রতিনিধি মো: আব্বাস আলী। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.