খালেদা জিয়ার শারীরিক চিকিৎসা সম্ভব বললেন হাসপাতাল পরিচালক

  ঢাকা প্রতিনিধি:  বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্ভব বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিস, আথ্রাইটিসসহ কয়েকটি রোগে ভুগছেন বলেও জানান তিনি।

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে সোমবার সকাল থেকেই নাজিমউদ্দিন রোডের পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগার ও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেয়া হওয়া কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

কারাগার থেকে হাসপাতাল যাওয়ার পুরো পথেই বাড়ানো হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্য।

বিএনপি চেয়ারপারসনের দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসপত্র আনা হয় বঙ্গবন্ধু  মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাখা হয় কেবিন ব্লকের ৬২১ ও ৬২২ নম্বর কেবিনে।

সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার পরপর কারাগার থেকে বের করা হয় বেগম জিয়াকে। তার গাড়িটির সামনে ও পেছনে ছিল আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টিত গাড়ি বহর।

সাড়ে বারোটার দিকে তাকে আনা হয় বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে। এসময় কারা কর্তৃপক্ষ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় গাড়ি থেকে নেমে হুইল চেয়ারে হাসপাতালে প্রবেশ করেন বেগম জিয়া।

পরে বিকেল তিনটার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান।
গত কয়েকদিন আগে উনার বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছিল সেগুলো প্রেক্ষাপটে এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী আজকে উনাকে ভর্তি করা হয়েছে । উনি এখন সুস্থ আছেন।’
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবারো বেগম জিয়ার ইচ্ছে অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালে নেয়ার দাবি জানান। এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সামনে স্লোগান দেয় বিএনপির কর্মী সমর্থকরা।

এবার দিয়ে কারাগারে থাকা অবস্থায় তৃতীয়বারের মতো বিএনপি চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলো।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.