কয়রায় ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের জমি দখল ও কুপিয়ে জখমের অভিযােগ

খুলনা ব্যুরাে: কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু ও তার পিতা হযরত আলী সরদারের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখল এবং তাদেরকে মারপিট ও কুপিয়ে জখমের অভিযােগ উঠেছে।
এছাড়াও হিন্দু মহিলাদেরকে মারধােরেরও অভিযােগ তুলেছেন ৬ নং কয়রা গ্রামের চপল রপ্তান। মারপিটে গুরুতর জখম হওয়া একজন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযােগে চপল রপ্তান বলেন, প্রায় ১০ বছর ধরেই তাদের তিন বিঘা জমি জাের করে দখল নিয়ে মাছ চাষ করছে টিংকুর পিতা হযরত আলী সরদার। এ বাবদ তারা কােন হারি প্রদান করেন না। এ বছরর শুরুতে ওই জমিতে নিজেরা মাছ চাষ করতে চাইলে টিংকু নানাভাব ভয়ভীতি ও হয়রানী করে আসছিলেন।
গত সােমবার সকালে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা মিলপ জমিতে রাস্তা দিতে গেলে টিংকুর পিতা কাজ বাধা দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তবে তারা কাজ অব্যহত রাখলে হযরত আলী টিংকুকপ ডাক দেয়।
টিংকু ৪/৫টি মোটর সাইকেল যােগে ঘটনাস্থলে এসে চপল রপ্তানর ভাবি ময়না রপ্তানকে বেধড়ক মারপিট করে। ময়না রপ্তানের মেয়ে সুমি মােবাইলে এ ঘটনা ভিডিও করলে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ও এলােপাথাড়ি পিটিয়ে জখম করে।
এসময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা টিংকুকে নিবৃত করার চেষ্টা করলে টিংকু, হযরত আলী, সালমান মােল্লা, বাবু সরদার, খােকন, জুবায়ের, আব্দুল্লাহসহ ১৫/১৬ জন তাদের ওপর চড়াও হয়। এসময় টিংকুর হাতে থাকা কুড়াল দিয়ে চপল রপ্তানের বড় ভাই ব্রােজেন রপ্তানের মাথায় কােপ মারে।
এতে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ব্রােজেন। পরবর্তিতপ চপলের বড় ভাইকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে চাইলেও তাদেরকে গ্রাম থেকে বের হওয়ার পথে পাহারা বসায় টিংকু। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলে তারা গুরুতর আহত ব্রােজেনকে নিয়ে প্রথমে কয়রা উপজলা স্বাস্থ্য  কমপ্লেক্সে ও পরবর্তিতে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করে।
এর আগের দিন সন্ধ্যায় টিংকুর দুলাভাই ছাত্রদলের উপজেলা আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ কাজল তাদেরকে জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দেয়।
চপল রপ্তান বলেন, টিংকুর পুরা পরিবার বিএনপি জামায়াতর রাজনীতির সাথে জড়িত থেকেও সে ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছে।
আমরা আওয়ামীলীগের রাজনীতি করেও সেই সরকারের আমলে বিএনপি জামায়াতের লােকজনের হাতে মার খেতে হয়েছে। আমাদের ভারত পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। আমাদর স্ত্রী-মেয়েদের ‍উপর শ্লীলতাহানী ঘটাচ্ছে। তাহলে আমরা বিচার চাইব কার কাছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী কাছে এর বিচার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু ও সাধারণ সম্পাদক শেখ হাদিউজ্জামান রাসেলের বিরুদ্ধে ঘের দখল, এমপিওভুক্তির নামে একটি স্কুল থেকে বিপুল অংকের অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও চাঁদাবাজি, মারপিট ও নির্যাতনের অভিযোগে এর আগেও সংবাদ সম্মেলন করে  উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.