কোরবানীর ঈদের পরেও কর্মচঞ্চলতা নেই উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম চামড়া বাজারে

নাটোর প্রতিনিধি: উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম চামড়া বাজারে কোরবানী ঈদের পরও নেই কর্মচঞ্চলতা। ট্যানারী মালিকদের কাছ টাকা না পেয়ে এখানকার প্রায় দেড়শ ’আড়তদার ২১ টি জেলার চামড়া ব্যাবসায়ীদের এখানে চামড়া আনার সিদ্ধান্ত দেয়নি।

তবে চমড়া ব্যবসায়ী সমিতি ট্যানারী মালিকদের কাছ টাকা নেয়ার চেস্টা করছে। পাশাপাশি আগামী ১০ আগস্ট থেকে ট্যানারী মালিকরা নাটোরে চামড়া কিনতে আসবে জানান নেতারা।

কোরবানী ঈদের পর নাটোরের চামড়া বাজার জমজমাট থাকলেও এবার চিত্রটা উল্টো। ঈদে শুধুমাত্র নাটোর জেলার কোরবানী হওয়া দেড়লাখ গরু ও ছাগলের চামড়া গুদামজাত করা হয়েছে উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম এই বাজারে।

নাটোর জেলার চামড়া সংরক্ষন করতে দ্বিতীয় দফায় লবন দিচ্ছেন আড়তদারা। প্রতিবছর কোরবানী ঈদের পর দেশের ২১টি জেলা চামড়া নাটোরে আসলেও ঈদের ৩দিন পার হলেও অন্য জেলার চামড়া আসেনি এখানে।

ঢাকার ৪০টি ট্যানারী মালিকদের কাছ থেকে নাটোরের ব্যবসায়ীদের পাওনা রয়েছে প্রায় ৬৫টি কোটি টাকা। ঈদের টাকা দেয়ার আশ্বাস থাকলেও ২/১ টি ট্যানারী ছাড়া বাকিরা এখানকার ব্যাবসায়ীদের সাথে এখনও যোগাযোগ করেনি।

ট্যানারী মালিকদের কাছ থেকে টাকা না পেয়ে অন্য জেলার ব্যাসায়ীদের এবার চামড়ার দামের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি এখান কার ব্যবসায়ীরা। ফলে চামড়া শূন্য হয়ে রয়েছে উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম চামড়া বাজার।

ট্যানারী মালিকদের হয়রানী বন্ধ করতে সরকারের কাছে কাঁচা চামড়া রপ্তানীর দাবিকরেন এখানকার ব্যবসায়ীরা।

নাটোর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্র“পের সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান লাল্টু বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ১০ আগস্ট থেকে এখানে অন্যজেলার চামড়া আসবে। পাশপাশি ওই সময়ে ট্যানারী মালিকরাও আসবে নাটোরে।

তবে এবার এখানকার ব্যবাসায়ীদের কাছ থেকে নগদ টাকায়ট্যানারী মালিকদের চামড়া কেনাতে চেস্টা করবে নাটোর জেলাচামড়া ব্যবসায়ী গ্র“প।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.