কৃষ্ণাঙ্গ ড্যানিয়েলকে ‘শ্বাসরোধ’ হত্যায় ৭ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

(কৃষ্ণাঙ্গ ড্যানিয়েলকে ‘শ্বাসরোধ’ হত্যা–ছবি: সংগৃহীত)

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নিউইয়র্কের রচেস্টারে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ ড্যানিয়েল প্রুডকে ‘শ্বাসরোধ’ করে হত্যার ঘটনায় সাত পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সেখানকার মেয়র ওয়ারেন বরখাস্তের ঘোষণা দিয়ে বলেন, সমাজের ভেতরে বর্ণবিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ার কারণেই এমন ঘটনা ঘটছে।

গেল মার্চে পুলিশি হেফাজতে মারা যান প্রুড। গ্রেপ্তার করার সময় পুলিশ তাকে ‘স্পিট হুড’ পরিয়ে রাস্তায় মুখ চেপে ধরলে শ্বাসরোধ হয়ে মারা যান বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও তখন ঘটনাটি আড়ালে থেকে যায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে মেয়র ওয়ারেন জানান, স্থানীয় কাউন্সিলরদের মতামতের বিপক্ষে গিয়েই পুলিশ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করতে হয়েছে। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে তদন্তেরও আহ্বান জানান তিনি।

ড্যানিয়েল মার্চে মারা গেলেও বিষয়টি পুলিশ প্রধান সময়মত তাকে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন মনে করেন মেয়র ওয়ারেন। এ ঘটনায় পুলিশ প্রধানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা সে বিষয়ে মেয়র এখনই কিছু জানাননি।

নিহত ড্যানিয়েলের পরিবারের অভিযোগের পর জনগণের দাবির মুখে গত বুধবার ২ সেপ্টেম্বর পুলিশের বডি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশের পর তার মৃত্যুর বিস্তারিত তথ্য সামনে আসে।

গত ২৩ মার্চ পুলিশ উপস্থিতিতে প্রুড তুষারপাতের মধ্যে নগ্ন হয়ে রাস্তায় দৌড়াদৌড়ি করছিলেন। ক্যামেরার ফুটেজে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার পর প্রুডকে কর্মকর্তাদের নির্দেশ মানতে দেখা গেছে। পুলিশের কর্মকর্তারা যখন তাকে মাটিতে শুয়ে হাত পেছনে রাখতে বলেন, তখনও তিনি ‘অবশ্যই’ বলেন।

এরপর ড্যানিয়েল উত্তেজিত হয়ে ওই কর্মকর্তাদের গালি দেন ও থুতু নিক্ষেপ করেন। তবে ফুটেজে তাকে কখনোই পুলিশের কাজে শারীরিকভাবে বাধা দিতে দেখা যায়নি।

ভিডিওতে পুলিশের এক সদস্যকে দুই হাত দিয়ে তার মুখ রাস্তার উপর ঠেসে ধরতে এবং থুথু দেয়া বন্ধ করাতে বলতে শোনা গেছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে নিস্তেজ হয়ে যান। অ্যাম্বুলেন্সে তোলার আগে স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রুডের জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এক সপ্তাহ পর, ৩০ মার্চ তার লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়া হলে মারা যান ড্যানিয়েল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.