কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩ শ্রমিকের প্রত্যেকের পরিবারকে এক লাখ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শ্রম মন্ত্রণালয়। আজ শনিবার মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল শুক্রবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে একটি ইটভাটার মেসে কয়লাবাহী ট্রাক উল্টে ঘুমন্ত ১৩ জন শ্রমিক নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয় আরও দুজন। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার গোলপাশা ইউনিয়নের করিমপুরের (দোসরী) কাজী অ্যান্ড কোং ইটভাটায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বিটিসি নিউজকে জানান, কয়লা আনলোড করার সময় ট্রাকটি পেছনের দিকে যেতেই হঠাৎ উল্টে গিয়ে ভাটার লেবার শেডের ঘুমন্ত শ্রমিকদের ওপর পড়ে। এতে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই ১২ শ্রমিক নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও একজন মারা যান।
ঘটনাস্থলে নিহতরা হলেন- নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার নিজপাড়া গ্রামের সুরেশচন্দ্র রায়ের ছেলে রঞ্জিতচন্দ্র রায় (৪৫), তার ভাই তরুণচন্দ্র রায় (২৫), একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. সেলিম (২৮), অমলচন্দ্র রায়ের ছেলে দীপুচন্দ্র রায় (১৯), কিশোরচন্দ্র রায়ের ছেলে শংকরচন্দ্র রায় (২১), রামপ্রসাদ রায়ের ছেলে বিপ্লব রায় (১৯), কামিক্ষা রায়ের ছেলে অজিত রায় (২০), শিমুলবাড়ি গ্রামের মনোরঞ্জন রায় (১৯), একই গ্রামের খোকাচন্দ্র রায়ের ছেলে মৃণালচন্দ্র রায় (২১), পাঠানপাড়া গ্রামের নূর আলমের ছেলে মোরসালিন (১৮), ফজলুল করিমের ছেলে শামসু (১৮), রাজবাড়ী গ্রামের খোকাচন্দ্র রায়ের ছেলে বিকাশচন্দ্র রায় (২৮) এবং ধলুচন্দ্র রায়ের ছেলে কনকচন্দ্র রায় (২৫)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রঞ্জিতচন্দ্র রায়।
গুরুতর আহত দুজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা সবাই কাজী অ্যান্ড কোং নামে একটি ইটভাটার শ্রমিক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে ১৩ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় দুটি তদন্ত কমটি গঠন করা হয়েছে। কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কায়জার মাহমুদ ফারাবীকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান করে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের চার সদস্যের কমিটিকে সাত দিনের এবং পুলিশের তিন সদস্যের কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।#
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.