কুমিরের নাম ওসামা বিন লাদেন!

(কুমিরের নাম ওসামা বিন লাদেন!–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বছরের পর বছর ধরে বহু গ্রামবাসীকে ভীতসন্ত্রস্ত করে রাখার পর জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের নামে নাম রাখা হয়েছিলো একটি কুমিরের।
১৯৯১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ৮০ জন গ্রামবাসীকে খেয়ে ফেলার পর কুমিরটিকে এই নাম দেয় স্থানীয়রা। প্রায় ৭৫ বছরের জীবনকালের বেশিরভাগ সময় কুমিরটি কাটিয়েছে উগান্ডার লেক ভিক্টোরিয়ায়।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিররের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে রক্তপিপাসু এই কুমিরের কথা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ১৬ ফুট দৈর্ঘ্যের কুমিরটি লেকপাড়ে পানি আনতে গেলে শিশুদের টেনে নিয়ে যেত। আবার মাছ ধরা নৌকায় আক্রমণ চালিয়ে বহু জেলের মৃত্যুর কারণ হয়েছে এটি। এক পর্যায়ে কুমিরটি নৌকায় লাফিয়ে উঠে জেলেদের টেনে নিয়ে যাওয়া শুরু করে।
কুমিরটির একটি শিকারে পরিণত হওয়া এক জেলের ছিন্নভিন্ন কাপড় লেকের পানিতে ভাসতে দেখা যায়। আরেকটি আক্রমণ প্রত্যক্ষ করেন পল কেউওয়ালেঙ্গা নামের এক ব্যক্তি। ওই আক্রমণে তিনি বেঁচে গেলেও  তার ভাইকে টেনে নিয়ে যায় কুমিরটি।
পল কেউওয়ালেঙ্গা জানান ঘটনার সময়ে তিনি এবং তার ভাই পিটার নৌকায় মাছ ধরছিলেন। সেই ঘটনা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘ওসামা পানি থেকে ভেসে উঠলো আর নৌকার উপর লাফিয়ে পড়লো। নৌকার পেছন দিকে যেখানে আমি বসেছিলাম সেই অংশটা ডুবে গেলো।’
সাহায্য চেয়ে চিৎকার করলেও কুমিরটি পিটারের পা টেনে ধরে পানির ভিতরে টানতে থাকে। পল জানান প্রায় পাঁচ মিনিট ধস্তাধস্তির পর অবশেষে কুমিরটি তাকে পানির নিচে নিয়ে যায়।
কুমিরটির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রামবাসী সাহায্য চাইতে থাকলে ২০০৫ সালে প্রায় ৫০ জন স্থানীয় বাসিন্দা এবং বন্যপ্রাণী কর্মকর্তার সাহায্যে কুমিরটিকে আটক করা সম্ভব হয়। স্থানীয় কিছু বাসিন্দা কুমিরটিকে মেরে ফেলতে চাইলেও কর্মকর্তারা গ্রামবাসীকে বোঝাতে সক্ষম হন যে এটি মারা যাবে না। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.