বৃষ্টির আশায় আদমদীঘিতে ব্যতিক্রমী ব্যাঙ-ব্যাঙাচির বিয়ে

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: ঢাক, ঢোল, সানাই বাজিয়ে, বরণ ডালা সাজিয়ে নানা রকমের আঞ্চলিক গীত গেয়ে ও আয়োজনকারীরা পোষাক পরিধান সাজিয়ে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে স্বস্তি পেতে বৃষ্টির আশায় নেচে গেয়ে ব্যতিক্রমী ব্যাঙ-ব্যাঙাচির বিয়ের আয়োজন করেছেন আদমদীঘি উপজেলা সদরের মাঝিপাড়া গ্রামের হিন্দু পল্লীর বাসিন্দারা।
বুধবার (১ মে) দিবাগত রাতে ধর্মীয় নীতি মতে মাঝিপাড়া গ্রামের হিমো সাধুর বাড়ীর খলিয়ানে ছায়া মন্ডব বানিয়ে দেয়ার জালিয়ে চালন ডালা সেজে শঙ্কধ্বনি, ঊলুধ্বনি আর বাদ্য বাজনা বাজিয়ে দেয়া হয় ব্যাগের বিয়ে। বিয়েতে ছেলে ব্যাঙের নাম দেয়া হয় আকাশ আর মেয়ে ব্যাঙাচির নাম দেয়া হয় বৃষ্টি।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বরণ ডালায় ব্যাঙ দুটিকে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ানোর পর ছায়া মন্ডব প্রাঙ্গনে বরযাত্রী ও কনে পক্ষের প্রায় দুই শতাধিক মানুষের খাবারের আয়োজন করা হয়। ব্যাঙ-ব্যাঙাচির বিয়ের আয়োজনকারী রতনা রানী, সনেকা বালা, চন্দনা রানী, তাপসী রানী, অলোকা রানী, কুমারী অন্নেষা, কুমারী রিয়া, কুমারী সোয়াসহ বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই জানান, চলমান প্রচন্ড তাপদাহে মানুষজন স্বস্তিতে কাজ করতে পারছে না।
আগের যুগে ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হতো সেই বিশ্বাস থেকেই ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।
বয়জ্যৈষ্ঠ প্রবীন ব্যক্তি বেলী বালা ওরফে নিশা বালা সরকার বলেন, তীব্র গরমে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে জনজীবন। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের বিপর্যয় নেমে এসেছে। আগের আমলে বাপ-দাদারা ব্যাঙের বিয়ে দিতেন বৃষ্টির আশায়। সেই বিশ্বাস থেকে অধিকতর তাপদাহ থেকে পরিত্রাণ ও বৃষ্টির আশায় এমন ব্যতিক্রমী বিয়ের আয়োজন করা হয়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.