কালীগঞ্জে বদলী সংক্রান্ত ঘটনায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যে যৌন-হয়রানীর মামলা

লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ  লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের সাজানো মিথ্যা ঘটনায়
একজন শিক্ষক কে মিথ্যা মামলায় ফেঁসে দেয়ায় ক্ষোভে ফুসে উঠেছে ওই ছাত্রীর অভিভাবকসহ পুরো এলাকাবাসী।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা  উদঘাটন করে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করে শিক্ষক সমাজের সুনাম অক্ষুন্ন রাখার দাবী জানিয়েছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক সহ এলাকাবাসী ও শিক্ষক সমাজ।
জানা গেছে,জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের দক্ষিন গোপালরায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা উম্মে সালমার সাথে একই বিদ্যালয়ের  সহকারী শিক্ষক আঃ মোতালেবের শিক্ষক সমন্বয় বদলী নিয়ে রেশারেশি চলে আসছিল।
সহকারী শিক্ষিকা উম্মে সালমার জনৈক আত্বীয়কে সমন্বয় বদলীর মাধ্যমে ওই বিদ্যালয়ে নিয়ে আসার প্রস্তাব করেছিল সহকারী শিক্ষক আঃ মোতালেব কে। এতে আঃ মোতালেব সম্মত না হওয়ায় দুই শিক্ষকের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
একই  বিদ্যালয়ে চাকুরী করলেও তাদের সম্পর্ক ছিল অন্তর দন্ধের মধ্যে। সমন্বয় বদলীর মাধ্যমে সহকারী শিক্ষিকা তার আত্বীয়কে ওই বিদ্যালয়ে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে মোতালেব কে সরানোর চেষ্টা শুরু করে।
এক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষিকা  উম্মে সালমা মুক্তা ঐ বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী সীমা( ৮)সহ কয়েকজন ছাত্রীকে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন প্রকার  ভয় দেখিয়ে সহকারী শিক্ষক আঃ মোতালেব তাদেরকে যৌন নির্যাতন করেছে বলে সাজানো মিথ্যা ঘটনা প্রচার করে ।
এ বিষয় ছাত্রী কিংবা তার অবিভাবকের কোন অভিযোগ না থাকায় ঘটনাটি সাজানো এবং মিথ্যা বলে সুশীল সমাজ ধারনা করে।
এদিকে গত ৪ আগস্ট  দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হাসান,কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত)বিদ্যালয়ে এসে সহকারী শিক্ষক আঃ মোতালেবকে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় রাতে সহকারী শিক্ষিকা উম্মে সালমা বাদী হয়ে একটি মামলা করলে শিক্ষক মোতালেবকে পুলিশ আটক করে ৫আগষ্ট সোমবার  বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করে পুলিশ।
ঘটনাটি তদন্ত করতে ৫ আগষ্ট সকাল ১০টার দিকে কালীগঞ্জ থানার এ এস আই তুষার ওই বিদ্যালয়ে আসলে প্রায় ৫শতাধিক নারী পুরুষ একত্রে হয়ে মিথ্যা সাজানো মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।  এসময় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তদন্তকারী অফিসার বাদী উম্মে সালমাকে পুলিশ ভ্যানে তুলে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
 এ বিষয় ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীদেরকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বিটিসি নিউজকে বলেন যে, সহকারী শিক্ষিকা উম্মে সালমা ভয়ভীতি ও পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে মিথ্যা কথা বলতে বাধ্য করায়। তারা আরও বলেন মোতালেব স্যার ভাল মানুষ তিনি আমাদের সাথে কোন খারাপ আচরন করেননি। সব সহকারী শিক্ষিকা উম্মে সালমা ম্যাডামের সাজানো।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ফরহাদ এর সাথে কথা বললে তিনি বিটিসি নিউজকে বলেন,সহকারী শিক্ষিকা উম্মে সালমার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষক মোতালেবকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।সঠিক তদন্ত করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা  নির্বাহী কর্মকর্তা কালীগঞ্জ রবিউল হাসান বিটিসি নিউজকে বলেন,ওই এলাকার জনৈক্য ব্যক্তির ফোনে ঘটনাটি জানতে পেয়ে আমি ,কালীগজ্ঞ থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত)ফরহাদ সহ বিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্রীদের মুখে ঘটনা সম্পর্কে জানি  এবং প্রাথমিক ভাবে সত্যতা পাওয়ায় মোতালেবকে আইনের আওতায় নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলেপ উদ্দীন বিটিসি নিউজকে বলেন,ঘটনাটি সম্পূর্ন  সাজানো ও মিথ্যা।
অত্র বিদ্যালরে প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান বলেন, আমাকে না জানিয়ে সহকারী শিক্ষিকা উম্মে সালমা অভিযোগ করেছে যা ঠিক হয়নি।
এলাকাবাসী ও অবিভাবকরা বিটিসি নিউজকে বলেন, সাজানো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন  ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই সেই সাথে মামলার ষড়যন্ত্রকারী মিথ্যা বাদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানান তারা।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.