কানাডার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ

 

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের আউটরিচ সেশনে যোগ দিতে চারদিনের সফরে আজ কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী এই সফরে যাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন। তিনি দুবাই হয়ে শুক্রবার সকালে টরেন্টো পৌঁছবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

কেবিনেট সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, কূটনৈতিক কোরের ডীন এবং পদস্থ সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
টরেন্টোতে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ এবং কানাডার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক ও উপ-প্রধান প্রটোকল জোনাথন সাউভি পিয়ারসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন।

দুই ঘণ্টা যাত্রাবিরতি শেষে প্রধানমন্ত্রী টরেন্টো থেকে কানাডার প্রাদেশিক শহর কুইবেকে যাবেন। সেখানে এই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান এবং সে দেশের কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কুইবেকের জ্যাঁ লেসাগে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অভ্যর্থনা জানাবেন।

সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে কানাডার গভর্নর জেনারেলের দেয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শনিবার লী ম্যানইর রিচেলিউ হোটেলে জি-৭ আউটরিচ নেতাদের কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। রোববার সকালে তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন। একই দিন তিনি কুইবেক থেকে টরেন্টোতে ফিরে আসবেন এবং সন্ধ্যায় হোটেল মেট্রোতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
প্রধানমন্ত্রী সোমবার কানাডার মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত বব রে’র সঙ্গে বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থানস্থল হোটেল রিজ কার্লটনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

শেখ হাসিনা সাসক্যাচুওয়ান প্রদেশের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং বাণিজ্য ও রফতানি উন্নয়ন মন্ত্রী গর্ডন ওয়েন্ট কিউসি, অভিবাসনমন্ত্রী জেরেমি হ্যারিসন ও সাসক্যাচুওয়ান প্রদেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

টরেন্টো ত্যাগের আগে প্রধানমন্ত্রী তাঁর হোটেল কক্ষে কমার্সিয়াল কর্পোরেশন অব কানাডার (সিসিসি) প্রেসিডেন্ট ও সিইও মার্টিন জেবলকের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রী দুবাই হয়ে দেশে ফিরবেন।

শেখ হাসিনা জি-৭ দেশগুলোর এই শীর্ষ সম্মেলনে ১৬টি দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগ দেবেন। এটি বিশ্বের অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর একটি প্লাটফর্ম। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, জাপান, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে এই প্লাটফর্ম গঠিত।

আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট এবং জি-২০’র সভাপতি মাউরিকো ম্যাকরি, হাইতির প্রেসিডেন্ট ও ক্যারিবিয়ান কমিউনিটির সভাপতি জোভেনেল মইসি, জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী এ্যান্ড্রিউ হোলনেস, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহরো কেনিয়াত্তা, মার্শাল আইল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট হিলদা হেইনি, নওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সোলবার্গ, রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট ও আফ্রিকান ইউনিয়নের সভাপতি পল ক্যাগামি, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল, সিসিলির প্রেসিডেন্ট ড্যানি ফেউরি, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসা, ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট নগুয়েন জুয়ান পুউচ, ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন ল্যাগারডি, ইকোনমিক কো-অপারেশন ও ডেভেলপমেন্ট সংস্থার মহাসচিব জোসে এ্যাঞ্জেল গুরিয়া, জাতিসংঘের মহাসচিব এন্টিনিউ গুতেরেস এবং বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস্টালিনা গিউরগিভা সম্মেলনে যোগ দেবেন। ( সূত্র: বাসস )#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.