কসবা টি.আলী কলেজের সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা টি.আলী কলেজের সাবেক সভাপতি সাদেক আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে অর্থ আত্মসাত ও বিভিন্ন অনিয়মের। বিগত ৫ বছরে ৪৪ লাখ টাকারও বেশী অর্থ আত্নসাতের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর এই অর্থ আত্মসাতের সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখতে ৫ ডিসেম্বর, দুপুরে কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীরা কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে আইন মন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
এ ছাড়াও একই বিষয়ে কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাউছার ভূইয়ার কাছেও স্মারকলিপি দিয়েছেন তাঁরা।
স্মারকলিপি সূত্রে জানা যায়, সাদেক আলী অত্র কলেজের সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে কলেজের স্বার্থের পরিপন্থী কার্যকলাপ করে আসছিলেন। সাবেক অধ্যক্ষের যোগসাজসে কলেজের বিপুল পরিমান অর্থ লোপাট হয়েছে।
যাহা অভ্যন্তরীন অডিট কমিটির প্রতিবেদনে প্রতিয়মান হয়েছে। এ কারনে কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীদের প্রায় ১২ বছরের বেতন বকেয়া রয়ে গেছে । সম্প্রতি সাদেক আলী কে পরিবর্তন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করায় বিগত দেড় বছরে কলেজের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে।
সম্প্রতি কলেজের শিক্ষকরা জানতে পেরেছেন আবারও সাবেক সভাপতি সাদেক আলী কলেজের বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করার জন্য পাঁয়তারা করছেন। এতে করে কলেজের ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে আতংক ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর ওসমান ভূইয়া বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, সাদেক আলী সাহেব সভাপতি থাকাকালীন সময়ে শিক্ষকদের সাথে রুঢ় আচরণ করতেন। তিনি সভাপতি থাকাকালীন সময়ে বিল ভাউচার তদন্ত করে দেখা গেছে ৪৪ লাখ টাকার অসংগতি রয়েছে। ওই সময়ের বিল ভাউচারে তাঁর স্বাক্ষর রয়েছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সভাপতির পদ থেকে বাতিল করেছেন। আমরা জানতে পেরেছি তিনি পুনরায় সভাপতি হওয়ার চেষ্টা করছেন। প্রতিকার চেয়ে আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, কলেজটিতে একটি শিক্ষার পরিবেশ ফিরে এসেছে। বিগত সময়ে সেটি ছিলোনা বলে জানতে পেরেছি। সাবেক সভাপতির সময়ে গঠিত আর্থিক অসংগতি সহ বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়ম ক্ষতিয়ে দেখতে শিক্ষকদের একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। এটি আইনমন্ত্রী মহোদয়কে পাঠানো হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি মোঃ লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.