কসবায় পাহাড়ী ঢলে ১০টি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি

বিশেষ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের সালদানদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুইদিনের পাহাড়ী ঢলে আর অতিরিক্ত বৃষ্টি পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট।
পানি বন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১০টি গ্রামের মানুষজন। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৫ হেক্টর বীজতলা। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।
উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা এলাকা থেকে সালদানদীর উৎপত্তি। গত দুইদিনের প্রবল বর্ষন ও ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ী ঢলের পানিতে কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের সালদানদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ শুক্রবার সকাল থেকে সালদা নদীর পানি ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পাওয়ায় বায়েক ইউনিয়নের সালদানদী- খাদলা বেলতলী সড়ক, হরিপুর বাজার থেকে পেট্রোবাংলা সড়ক, শেরেবাংলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কোল্লাপাথর সড়ক, শ্যামপুর সড়ক, কৈখলার সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।
পানি বন্দি হয়ে পড়েছে বড় বায়েক, হরিপুর, বিদ্যানগর, নিশ্চিন্তপুর, গৌরাঙ্গলা, শ্যামপুর, পুটিয়া ও খাদলাসহ প্রায় ১০ গ্রামের সাধারণ লোকজন পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত পানির কারনে পাঁচ হেক্টর রোপা আমানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আর বেশ কয়েকটি পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম বিটিসি নিউজকে বলেন, কয়েকটি গ্রামের লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রায় ৫ হেক্টর বীজতলা। ভেসে গেছে কয়েকটি পুুকুরের মাছ।
তিনি বলেন, বিষয়টি মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় ও জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করেছি। ক্ষতিগ্রস্থের তালিকা তৈরী করার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি মোঃ লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.