করোনায় নিহতদের স্মরণে পঞ্চগড়ে বৃক্ষরোপন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিহতদের স্মরণে পঞ্চগড়ে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ‘প্রত্যাশা’ নামের একটি সংগঠন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই কর্মসূচিটির উদ্বোধন করা হয়।

উদ্যোগের প্রথম ধাপে চাকলাহাট ইউনিয়নের ৩৪ নং ভান্ডারুগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে প্রায় ৬০টি ফলদ, বনজ, ওষুধী ও ফুলের গাছ লাগানো হয়।

সংগঠনটির সদস্যরা জানান, পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের তরুণদের উদ্যোগ এই ‘প্রত্যাশা’ সংগঠন। যতজন করোনায় নিহত হবেন, তাদের নামে সংগঠনের উদ্যোগে একটি করে গাছ গোটা জেলায় ধাপে ধাপে লাগানো হবে।

মূলতঃ জেলার স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা ও মন্দিরে গাছ লাগনো হবে। প্রথম ধাপে মঙ্গলবার ভা-ারুগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬০টির মত চারা লাগানো হয়।

আগামী শুক্রবার ইউনিয়নের প্রধানপাড়া মসজিদ প্রাঙ্গণে আরও ২০টির মত চারা লাগানো হবে।

তারা বলেন, আমরা এমন সব প্রতিষ্ঠানে লাগাচ্ছি যা একটি কমিউনিটির অংশ। এসব প্রতিষ্ঠানে অর্জুন, হরতকি, নিম, বহেরার মত ওষুধী গাছ, কৃষ্ণচূঁড়া, রাধাচূঁড়া, বকুল, দেবদারু, জারুলের মত পাতাবাহার ও ফুলের গাছ এবং জামরুল, জাম, কাঠাল, জলপাই প্রভৃতি ফলের গাছ লাগানো হবে। এসব গাছ যেমন প্রতিষ্ঠানের শোভা বাড়াবে, তেমনি এর ফল ও ছাল-বাকল এলাকাবাসীর উপকারে আসবে।

কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভা-ারুগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুণ অর রশিদ বলেন, করোনায় মানুষের পাশে অনেকেই নানা ভাবে দাঁড়াচ্ছে। তবে প্রত্যাশা সংগঠনের সদস্যদের এই উদ্যোগটি কিছুটা ব্যতিক্রম। এই বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে তারা চলে গেছে। কিন্তু বিদ্যালয়টিকে তারা ভোলেনি। গাছ লাগিয়ে দিয়েছে। তাদের এই মহতী উদ্যোগ সফল হোক।

অনুষ্ঠানে চাকলাহাট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন বলেন, প্রত্যাশা সংগঠনের ছেলেরা শুরুতেই এই উদ্যোগ নিয়ে আমার কাছে এসেছিল। তাদের এই উদ্যোগ দেখে আমার গর্ব হয়। আমি সব সময় তাদের পাশে আছি।

প্রত্যাশা সংগঠনের আহ্বায়ক সুলতান মাহমুদ বলেন, আমরা চাই মানুষের পাশে দাঁড়াতে, মানুষের দীর্ঘমেয়াদী উপকারে আসতে।

সেই ধারাবাহিকতায় আমরা এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। আমরা চাইনা করোনায় আর একটি প্রাণ ঝরে পড়–ক। তবে যতদিন করোনা তার প্রাণনাশী থাবা না থামায়, ততদিন এই কর্মসূচি অব্যাহত রাখবো।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পঞ্চগড় প্রতিনিধি শেখ সম্রাট হোসেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.