করোনায় নতুন মৃত্যু ৪০, মৃতের সংখ্যা ৬৫০, নতুন আক্রান্ত ২৫৪৫, মোট আক্রান্ত ৪৭১৫৩

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: বিশ্বে যখন মৃত্যু মিছিল তখন করোনায় বাংলাদেশেও দিনকে দিন বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৪০ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ৬৫০ জন মারা গেলেন। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৫৪৫ জন। ফলে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ১৫৩ জনে। ৫২ টি পরীক্ষাগারে এসব পরীক্ষা করা হয়। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১১,৮৭৬টি নমুনা।

আজ রবিবার (৩১ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ মেনে ঘরে থাকার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণেরও পরামর্শ দেন। একই সাথে যারা করোনার এই মহামারিতে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের ধন্যবাদ দেন নাসিমা।

তিনি নতুন যুক্ত দুটিসহ মোট ৫২টি আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ২২৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৩ লক্ষ ৮ হাজার ৯৩০টি।

নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে আরও ২ হাজার ৫৪৫ জনের দেহে। এটি এ যাবতকালের সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। ফলে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ১৫৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও ৪০ জনের। এটি এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানির রেকর্ড। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৫০ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৪০৬ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল নয় হাজার ৭৮১ জনে।

এর আগে গতকাল শনিবার (৩০ মে) বুলেটিনে জানানো হয়, দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৬১০ জন। এই সময়ে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে ১ হাজার ৭৬৪ জনের শরীরে। ফলে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ৬০৮ জনে।

প্রসঙ্গত, চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত চার মাসে বিশ্বের ২১২টিরও বেশী দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬২ লক্ষ ছুঁইছুঁই। মারা গেছেন ৩ লক্ষ ৭১ হাজারেরও বেশী মানুষ। তবে ২৭ লক্ষ ৪৩ হাজারেরও বেশি রোগী ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।

করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.