করোনার চিকিৎসায় রেমডেসিভির অনুমতি ইইউ’র

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মহামারি করোনাভইরাসের চিকিৎসায় শর্তসাপেক্ষে রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গতকাল শুক্রবার (০৩ জুলাই) এই অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) হেলথ কমিশনার স্টেলা কাইরিয়াকাইডস। 

কাইরিয়াকাইডস বলেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে দক্ষ চিকিৎসা বা ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় আমরা কোনো ত্রুটি রাখব না। এই প্রথমবার ইইউর এক্সিকিউটিভ আর্ম করোনার চিকিৎসায় এই ঔষধের অনুমোদন দিল।

এর আগে গত সপ্তাহে ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) জানায়, ভ্যাকলুরি নামে বিক্রি হওয়া এই ওষুধটি অক্সিজেন সাপোর্টে থাকা ১২ বছরের বেশী বয়সী করোনা রোগীদেও ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। মার্কিন বায়োটেক প্রতিষ্ঠান গিলিয়াড সায়েন্সেস রেমডেসিভির ঔষধটি তৈরী করেছে। ইবোলা রোগের চিকিৎসার জন্য এই ঔষধ তৈরী করা হলেও এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ওপর খুব একটা কাজ করেনি রেমডেসিভির।

তবে রেমডেসিভির প্রাপ্তিতে বড় বাধা হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আগামী তিন মাসে এর উৎপাদন সংস্থা গিলিয়াড সায়েন্স যত রেমডেসিভির উৎপাদন করবে তার প্রায় সবই আগাম কিনে নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফলে বিশ্বব্যাপী এর সরবরাহে ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও উন্নয়নশীল দেশগুলো সমজাতীয় ঔষধ উৎপাদন করতে পারবে।

ইইউ জানিয়েছে, তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের জন্যই রেমডেসিভির জোগাড়ে গিলিয়াডের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করছে।

করোনা রোগীদের চিকিৎসায় এ পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকর ঔষধ হিসেবে মনে করা হচ্ছে রেমডেসিভিরকে। ইতোমধ্যেই জাপান, তাইওয়ান, ভারত, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলো গুরুতর রোগীদের চিকিৎসায় এটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। (সূত্র: বিবিসি)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.