ওষুধের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের অবস্থা নাজেহাল

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: করোনাকালে ওষুধের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে কার্যত ব্যর্থ ওষুধ নিয়ামক সংস্থাগুলো।খোদ কেন্দ্রীয় সরকারের ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইজিং অথিরিটি-র রিপোর্ট বলছে এই কথা।
নিয়ম অনুযায়ী, লাগামছাড়া ওভারচার্জিং বা বেশীদামে ওষুধ বিক্রির জন্য বিভিন্ন কোম্পানিগুলোকে জরিমানা করা হয়।কিন্তু সেই বাবদ ১,১৭৯ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা এখনও বকেয়া। বড় বড় ওষুধ কোম্পানি গুলো এই টাকা বাকি রেখে দিব্যি কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সেই সাথে চলছে মামলামোকদ্দমা ও আইনি লড়াই। সরকার মাত্র ১৪ শতাংশ টাকা উদ্ধার করতে পেরেছে। বারে বারে আইনের দোহাই দিয়ে পাশকাটিয়ে যাচ্ছে। অথচ আখেরে জর্জরিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
সূত্রের খবর, ওষুধ নিয়ামক সংস্থাকে নির্ধারিত মূল্যে ওষুধ বিক্রির প্রতিশ্রুতি (ফর্ম-ভি) দিয়ে চড়া দামে বাজারে ছাড়ে বহু বড় কোম্পানি। বিষয়গুলো কর্তৃপক্ষের নজরে আসার আগেই কোটি কোটি টাকার মুনাফা ঘড়ে তুলে নেয়।
বাজারে দুই ক্যাটিগরির ওষুধ পাওয়া যায়। একটি কন্ট্রোলড ক্যাটিগরির- যার দাম কেন্দ্রীয় সরকারের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে থাকে। দ্বিতীয়টি ডিকন্ট্রোলড ক্যাটিগরি অর্থাত সরকারি নিয়ন্ত্রণহীন।এখানেই বহু কোম্পানি ম্যানিপুলেশনে যায়।
অর্থাত ডিকন্ট্রোল ওষুধ কন্ট্রোলে গেলেই ওষুধের কম্পোজিশন মান বাড়িয়ে দাম বাড়াবার আশ্রয় নেয় কোনরকমের মানদণ্ডের তোয়াক্কা না করেই। চিকিৎসার দিক দিয়ে তা বিপদজনক।
এব্যাপারে জরিমানা করলে আইনের দ্বারস্থ হয়ে দীর্ঘ টালবাহানা চলতে থাকে। দুপক্ষই জানে এসব মামলার সহজে নিষ্পত্তি হয় না। সর্বভারতীয় সংস্থা অল ইন্ডিয়া কেমিস্ট অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউটর্স ফেডারেশনের সর্বভারতীয় সম্পাদক জয়দীপ সরকার বলেন, ভিটামিন একটি নিয়ন্ত্রিত ওষুধ। এর ৭৫ শতাংশই মূল উপাদান ওষুধ দপ্তরের আওতায়।
অথচ বিভিন্ন কোম্পানি ছলেবলে ফুডসাপ্লিমেন্ট হিসেবে খাদ্যমণ্ত্রকের অধিনে এনে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। সব জেনে বুঝে নিরুপায় হয়ে বসে আছে কেন্দ্র।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.