এসিডির মতবিনিময় সভায় বক্তারা অনলাইনে শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ করাসহ সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি


নিজস্ব প্রতিবেদক: নিশ্চিত নিরাপত্তা কেউ কাউকে দিতে পারে না। আমাদের অনেক আইন আছে যা আমরা মানি না। তাই অনেক সমস্যা আমরা নিজেরাই তৈরি করি। আমাদের প্রত্যেককে অনলাইনে যৌন নির্যাতন বা শোষণ প্রতিরোধে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। তাই এই নির্যাতন প্রতিরোধ করাসহ সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি।

আজ মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) বিকালে ‘ইন্টারনেটে শিশু যৌন নির্যাতন ও যৌন শোষণ প্রতিরোধে অর্জন ও করণীয়’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। উন্নয়ন ও মানবাধিকার সংস্থা ‘এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি’র উদ্যোগে সংস্থার সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন এসিডি’র ডিরেক্টর (ফিন্যান্স) পংকজ কর্মকার। এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের ইনচার্জ) সোনিয়া পারভীন।

সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য র;স ‘এসিডি’র মিডিয়া ম্যানেজার আমজাদ হোসেন শিমুল। এনসয় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ‘ইন্টারনেটে শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে অর্জন, নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতনতা বিষয়ক নির্দেশিকা, সাইবার নিরাপত্তা, পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন পর্যালোচনা বিষয়ক তথ্য উপাত্ত’ উপস্থাপন করেন এসিডি’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. আলী হোসেন।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, এনজিও প্রতিনিধি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, আইটি বিশেষজ্ঞ, এ্যাডভোকেট, শিক্ষক এবং শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিটির সদস্যরা অনলাইনে শিশু যৌন নির্যাতন এবং প্রতিরোধ ও নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। এসময় অন্যদের মধ্যে এ্যাডভোকেট মনোজ কুমার ঘোষ, তপন কুমার সাহা, ব্লাস্ট এর সমন্বয়কারী সামিনা বেগম, কল্পনা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি সোহেল রানা এবং শাহ মখদুম কলেজ, পলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজ এবং জাতীয় তরুণ সংঘ একাডেমির তথ্য প্রযুক্তি’র শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ইন্টারনেটের সুবিধা-অসুবিধা উভয়ই আছে তবে তারা ইন্টারনেটের অপব্যবহার প্রতিরোধ এবং নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতা তৈরির কাজটি ছোট পরিসরে না করে বৃহৎ পরিসরে করার আহব্বান জানান। বাবা-মাকে সন্তানের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করতে হবে এবং প্রত্যেক অভিভাবকদের শিশুদের ব্যাপারে সচেতনতা হতে হবে। মিটিংয়ের বিষয়গুলো যে যার অবস্থান থেকে সকলের সাথে বিনিময় করার আহব্বান জানান।

তারা বলেন, ১৮ বছরের নীচে কোন শিশু যেন র্স্মাটফোন ব্যবহার না করতে পারে সে জন্য অভিভাবকদেরকে সচেতন হওয়ার আহব্বান জানান। স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা যেন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে না পারে সে জন্য শিক্ষকদের সচেতন হওয়ার আহব্বান জানান। সর্বোপরি আলোচনা সভায় বক্তারা নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর জোর দেন। এনজিও প্রতিনিধিগণ বলেন, তারা বিভিন্ন গ্রুপ মিটিং ও মাসিক মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করবেন। শিক্ষকগণ বলেন, তারা নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নির্দেশিকা শ্রেণিকক্ষে আলোচনা করবেন যাতে শিক্ষার্থীরা সচেতন হয়।

বক্তারা বলেন, ১৮ বছরের নীচে কোন শিশু যেন র্স্মাটফোন ব্যবহার না করতে পারে সে জন্য আইন প্রণোয়নসহ আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা, অনলাইনে শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়টি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। অনলাইনে শিশুদের যৌন নির্যাতন থেকে রক্ষা করতে হলে পিতা-মাতা, অভিভাবক, শিক্ষকসহ সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। গণসচেতনতা তৈরির জন্য সকল অংশীজনকে ব্যাপকভাবে কাজ করতে হবে। বার্তাগুলি একে অপরের সাথে শেয়ার করা জরুরি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি আমজাদ হোসেন শিমুল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.