এমপি শিমুলের ভাই মিতুর রোষানলে অটোরিকশা চালক উপহার পেলেন লাথি, চড় আর থাপ্পড়

বিশেষ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ০৭ নং শ্যামপুর ইউনিয়ন হাদিনগর গ্রামের নাগরিক অটোরিকশা চালক মোঃ জিয়াউর রহমান। তিনি শিবগঞ্জ বাজার থেকে মনাকষা, বিনোদপুর রোডে কয়েকজন যাত্রীসহ অটোরিকশা চালিয়ে আসছিলেন। এমন অবস্থায় মনাকষা ঈদগাহ্ মোড় বাজারে তিনজন ব্যক্তি অটো থেকে নামেন। যাত্রী গুলো ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল এমপির স্বনামধন্য বড় ভাই জাকির আহম্মেদ মিতু।

তাদের নায্য ভাড়া ৩০ টাকা, যাত্রী হিসেবে মিতুর কাছে অটোচালক ভাড়া দাবি করলে, মিতু তার হাতে ২০ টাকার একটি নোট ধরিয়ে দেয়।পরবর্তীতে অটোচালক বলে আপনি সহ ৩ জন যাত্রী ছিলেন। আমার ভাড়া হচ্ছে ৩০ টাকা। চালকের কথা শুনেই মিতু রেগে গিয়ে অটোচালককে বলেন ২০ টাকায় নিয়ে যা নইলে সমস্যা আছে। এই বলে মিতু অটোচালককে একটি লাথি মারে এবং পরবর্তীতে এমপির কিছু ক্যাডার বাহিনী ছুটে এসে অটোচালককে এলোপাথাড়ি ভাবে চড় থাপ্পড় মারে। পরে একটি রড দিয়ে আঘাত করলে অটোচাল সরে গিয়ে তার প্রান বাঁচায়, হাতাহাতি করে তার পরনের জ্যাকেটটি ছিড়ে ফেলে।

এখানেই থেকে শেষ নয়, মিতু অটোচালককে আবার হুমকি দিয়ে বলেন যে তুই আমার সাথে ১০ (দশ) টাকার জন্য, যে ব্যাবহার করলি, তোকে আইনের কাছে সোপর্দ করা হবে দাড়া। ঝামেলায় পড়ার ভয়ে সুযোগ বুঝে অটোচালক তার অটো বাইক নিয়ে পালিয়ে এসে প্রাণে রক্ষা পায়। এই স্বীকারোক্তি দিলেন সেই অটোচালকটি নিজেই যার ভিডিও ইতিমধ্যেই ফেইসবুক ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এই স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক, সুশীল সমাজ কি আশা করেন, একজন দাপুটে বিত্তবান লোক হয়ে যাদের এই অমানবিক আচরণ। অথচ নির্বাচন আসলে সব ধরণের অটোচালক, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, লেবার, মিস্ত্রী, কামার-কুমার, কৃষক সহ সাধারণ সকল জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটগুলো নেওয়া হয় ভোট-পরবর্তী এমন আচরণ কেউকি কখনোই আশা করেন, না করিনা!

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, এই ধরনের আচরণ এমপির স্বনামধন্য ভাই অহরহ ঘটিয়া থাকেন। সে এমপির ভাই হওয়ায় তাকে কেউ কিছু বলতে সাহস পাইনা বিভিন্ন গায়েবি মামলার ভয়ে। অটোচালকটি যখন ভিডিওর সামনে কথাগুলো বলছিলেন সে সময় উপস্থিত ছিলেন, শিবগঞ্জ উপজেলার সংগ্রামী সভাপতি রিজভী আলম রানা, বিনোদপুর ইউনিয়নের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক রতন রাহাত, উজিরপুর ইউনিয়নের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, মনাকষা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি এম ইমরান খানসহ বিনোদপুর ইউনিয়নের আপামর জনতা।

এছাড়াও রিজভী আলম রানার ধারণকৃত ভিডিওটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এবং শিবগঞ্জ উপজেলার আপামর জনতার তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.