একটি মানবিক আবেদন : দুই কিডনি নষ্ট হয়ে বাঁচার আর্তি দুই শিশু সন্তানের জননী

নাটোর প্রতিনিধি: দেখতে দেখতে কেটে গেছে তার জীবনের ২৯টি বছর। ৯ বছরের কন্যা স্বপ্নিল রেজা পুস্প পর দেড় মাস আগে সুলতানার কোল জুড়ে আসে শিশুপুত্র আব্দুল্লাহ।
ঘুর্ণাক্ষরেও টের পায়নি কখন যে, মরণ অসুখ বাসা বেঁধেছে তার কিডনিতে।সিজারিয়ানের সময় যখন সে জানতে পারলো তখন তার দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে।
তিনি এখন জীবনের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। দুই শিশু সন্তান,স্বামী এবং সংসার নিয়ে তার দুচোখে মুঠো মুঠো স্বপ্নের বদলে শুধুই মৃত্যুর বিভীষিকা!তার মধ্যে এখন বেঁচে থাকার তীব্র আকুতি।
নিজের পরিবারের সামর্থ্য নেই এত অর্থ ব্যয় করে তাকে বাঁচিয়ে রাখার। তারপরও তার পরিবারের চেষ্টার কমতি নেই।
তারা ইতিমধ্যে ঢাকা ও রাজশাহীতে নিয়ে গেছেন চিকিৎসার জন্য। তবে তারা আর পারছেন না আর্থিক সামর্থ্যে। তাই, সংবাদ মাধ্যমের কাছে হাজির হয়েছেন, তাদের সুলতানাকে বাঁচিয়ে রাখার আকুতি নিয়ে।
কারো দ্বারে যাওয়া তাদের সম্মানের ব্যাপার। তারপরও নিরুপায় হয়ে সুলতানাকে বাঁচাতে সমাজের সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।সুলতানার জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়ার আগেই তার পরিবার আকুতি জানিয়ে বলেছে-‘মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না!’বর্তমানে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তাররা জানান, দুই কিডনী থেকে একটি প্রতিস্থাপন করা গেলে রোগীকে বাঁচানো যাবে। স্বজণদের কেউ যদি কিডনী দান করেন তবে দুই কিডনী অপসারণ ও প্রতিস্থাপনে যাবতীয় ৮-১০ লাখ টাকা লাগতে পারে বলে জানান চিকিৎকরা।
জানা যায় প্রতিদিন রোগীর ডায়ালাইসিসে বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ৮-১০ হাজার টাকা লাগে।
এ বিষয়ে সুলতানার স্বামী সেলিম রেজা জানান, তাদের বাড়ি নাটোরের সিংড়ার উপজেলার বিক্রমপুর গ্রামে ।৯ বছরের কন্যার পর দেড়মাস আগে সিজারিয়ানের মাধ্যমে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন সুলতানা ।মূলত তখনি জানা যায় দুই কিডনী সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে সুলতানা ।
ঢাকার কিডনী ফাইন্ডেশন হাসপাতালে ছুটে যান তারা। সেখানে পরীক্ষানিরিক্ষা করার পর জানা যায় কিডনী দুটোই নষ্ট। দুই নষ্ট কিডনীতে অদ্ভুত এক দুর্ভাগ্য কেড়ে নিতে যাচ্ছে ছোট্ট পরিবারের সুখ,স্বপ্ন, হাসি মাখা মমতা! রামেকে ডায়ালাইসি অবস্থায় সুলতানা চিকিৎসাধীন রয়েছে। দুই চোখে পানির ফোটা মুছে দুই শিশু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে তাদের মাকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। আপনারা যদি সুলতানার পাশে দাঁড়ান তাহলে অবশ্যই তিনি বেঁচে যাবে।আর সুলতানার সন্তানরা এতিম হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।
আপনারা যদি সাহায্যে পাঠাতে চান তাহলে নিচের বিকাশ নাম্বারে সহায়তা পাঠাতে পারেন:-
★যোগাযোগ ও অভিবাবক বিকাশ:—সেলিম রেজা
০১৭৭১৮৮২৬৭৭..(সুলতানার স্বামী)পারসোনাল
এছাড়াও সঞ্চয়ী হিসাব নাম্বারে পাঠানো যাবে..Md. Salim raza.
A/c – 126.101.255798
Dutch bangla bank ltd
Elephant rood branch.dhaka.
……………………bkash no- 01771882677.
স্বপ্নীল ট্রেডার্স
a/c no- 0200005681577
প্রোঃ মোঃ সেলিম রেজা
অগ্রানী ব্যাংক লিমিটেড
সিংড়া, শাখা নাটোর।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.