একটি মাত্র মোবাইল ফোনের জন্য খুন করা হয় মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী জাহানারা চৌধুরীকে !

নাটোর প্রতিনিধি: একটি মাত্র মোবাইল ফোনের লোভে খুন করা হয় নাটোর চৌধুরী পাড়ার বিশিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মাজেদ খান চৌধুলীর স্ত্রী জাহানারা চৌধুরী ৬০ কে। এ ঘটনায় কিশোর হত্যাকারী সোহান আদারতে স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দী দিয়েছেন। নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা আজ শনিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, প্রয়াত মাজেদ খান চৌধুরীর বাড়িতে ভাড়া থাকার সুবাদে জাহানার চৌধুলীর অপ্পো টাচ মোবাইল ফোনের প্রতি লোভ ছিল সোহানের। জাহানারা চৌধুরীর দুই ছেলে ঢাকা থাকায় তিনি একাই বাড়িতে বসবাস করতেন। ঘটনার দিন সোহান গত বৃহস্পতিবার ভোরে ফজরের নামাজের কিছু পূর্বে আক্তার নামীয় একজনের বাড়ির ছাদ বেয়ে নিচে নেমে এসে পুরাতন জানালা ভেঙ্গে জাহানারা বেগমের ঘরে ঢুকে।

এরপর অপ্পো মোবাইল ফোনটি নেওয়ার সময় জাহানারা বেগমের ঘুম ভেঙ্গে যায়। তিনি সোহানকে ঘরে কেন কিভাবে প্রবেশ করছে চিৎকার করতে থাকলে সোহান ঘরের ভিতরে কাঠের র‌্যাকে থাকা ছুরি দিয়ে জাহানারা বেগমের পিঠে আঘাত করে।

এসময় জাহানারা বেগম বাধা দিলে সোহান এলাপাথারি ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকে তাকে। একপর্যায়ে জাহানারা বেগম নিস্তেজ হয়ে এলে সোহান মোবাইল ফোনটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী জাহানারা চৌধুরীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যূ হয়।

পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, ঘটনার দুই ঘন্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে চকএলাকা বৈদ্যনাথ পুলিশ সোহানকে আটক করে। অপরদিকে নিহত জাহানারা বেগমের ছেলে আরমান খান চৌধুরী লুটু বাদী হয়ে সোহান সহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন।

ধৃত সোহান গতকাল শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করলে সে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। উল্লেখ্য, সোহান-১৬ শহরের কান্দিভিাটা এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.