উপকূলে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘আসানি’, মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি

বিশেষ প্রতিনিধি: সাগরে সম্ভাব্য লঘুচাপের ফলে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘আসানি’ জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, উত্তর-পূর্বদিকে ভারতের উড়িষ্যা, পশ্চিম বাংলা হয়ে সাতক্ষীরা জেলায় আঘাত হানতে পারে আসানি।
তবে আসানি মোকাবেলায় সরকারের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ।
আজ বৃহস্পতিবার (০৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় পূর্ব প্রস্তুতি বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা গতকাল জানতে পেরেছি ভারত মহাসাগরের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের কাছে একটি সাইক্লোনিক সিস্টেম ডেভেলপ করেছে। যেটা লঘুচাপে রূপান্তরিত হবে ৯ মের মধ্যে।যেটাকে আমরা ‘লো প্রেসার’ বলি। এরপর এটা ধীরে ধীরে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হবে।
এরপর ১১ মের দিকে নিম্নচাপে রূপান্তরিত হয়ে নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তর হওয়ার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। যদি ঘূর্ণিঝড় হয় তাহলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হবে আসানি। এটার ল্যান্ডফলটা এখন পর্যন্ত ক্যালকুলেশন হয়নি। নিম্নচাপ ও ঘুর্ণিঝড় সৃষ্টির পর বিস্তারিত জানাতে পারব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ একটি ঘূর্ণিঝড় প্রবণ দেশ। আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে, লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে ঝড়ে। এজন্য আমরা আজকে প্রাথমিক সভা ডেকেছি। এখানে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আলোচনা করেছি। কবে লঘুচাপ ও নিম্নচাপ সৃষ্টি হবে সেগুলো নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিটা স্টেপে আমাদের প্রস্তুতি কী হবে এবং কীভাবে নির্দেশনা দেবো সেগুলো আমরা আজ ঠিক করেছি। পরবর্তীতে যদি সতর্ক সংকেত দেওয়া হয় তাহলে আমরা একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে মাঠ পর্যায়ে পাঠিয়ে দেবো নির্দেশনাগুলো।
তিনি বলেন, আমাদের যে এসওডি আছে সে অনুযায়ী কখন কী করতে হবে জানিয়ে দিয়েছি। আমাদের ভলান্টিয়ারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই এখন অ্যালার্ট। পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের প্রায় ৭ হাজার শেল্টার হাউস আছে, প্রয়োজনে স্কুল কলেজ ও অন্যান্য ভবন কাজে লাগাবো।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.