উদ্বোধনের দেড় বছরেও খাবারের ব্যবস্থা নেই রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায়

রংপুর ব্যুরো:  উদ্বোধনের প্রায় দেড় বছর অতিক্রম হলেও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আজও ক্যাফেটেরিয়ায় শিক্ষার্থীদের জন্য সুলভ মূল্যে খাবারের ব্যবস্থা করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। বরং রুম দখল করে ভাঙ্গা চেয়ার-টেবিল রাখার গোডাউন বানানো হয়েছে। এতে ক্যাফেটরিয়ার মুল উদ্দেশ্য নস্ট হচ্ছে। এ নিয়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে।

বিশ্ববিবিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া ভবনের নির্মাণ কাজ ২০১৩ সালে সম্পন্ন হলেও এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় ২০১৭ সালের ১ লা নভেম্বর। বর্তমানে ক্যাফেটেরিয়া উদ্বোধনের প্রায় দেড় বছর অতিক্রম হলেও আজও ক্যাফেটেরিয়ায় শিক্ষাথীদের জন্য সুলভ মূল্যে খাবারের ব্যবস্থা করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

এমনকি মাঝে মাঝে খাবার পানিও দুর্লভ হয়ে ওঠে। ক্যাফেটেরিয়াটি বর্তমানে নামমাত্র খোলা রয়েছে। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম করে চালু হওয়ার পর থেকে শুধু চা-বিস্কুট ছাড়া কিছুই পাওয়া যায় না। ১০২১ স্কয়ার মিটার বিশিষ্ট ক্যাফেটেরিয়াটি যে উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হয়েছে তার একটিও বাস্তবায়ন করা হয়নি এখনও। শুধূ তাই নয়, এখন এটি গোডাউন হিসেবেও ব্যবহার হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্যাফেটরিয়া ভবনটির নীচতলার একটি কক্ষ দখল করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে বসা ভাঙ্গা চেয়ার টেবিল দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।ওই কক্ষে শিক্ষার্থীদের বসার মত কোন জায়গা নেই। ফলে নীচতলার অপর একটি কক্ষে সবাইকে বসতে হয়। এছাড়াও ভবনের সামনে-পিছনে ভাঙ্গা চেয়ার-টেবিলের স্তুপ জমে আছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যাফেটেরিয়া হল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাণের জায়গা। ক্যাফেটেরিয়ায় এসে মাঝে মাঝে বসার জায়গাও মেলে না। কর্তৃপক্ষ ক্যাফেটেরিয়াকে গোডাউন ঘরে পরিণত করছে যা আমরা কখনোকল্পনাও করিনি। গোডাউন ঘর পরিস্কার করে আমরা শীগ্রই ক্যাফেটেরিয়াকে পূর্ণাঙ্গরুপে চালু করার দাবি জানাই।

ক্যাফেটেরিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী রেজিস্ট্রার হোসেন আল মুনতাসির বিটিসি নিউজকে বলেন, ভর্তি পরীক্ষার সময় একটি কমিটি গঠন করে এই চেয়ারগুলো এখানে আনা হয়েেেছ। পরে তখন থেকেই এগুলো আর সরানো হয়নি। আমি একাধিকবার স্যারদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলার পরও কোন কাজ হয়নি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রংপুর ব্যুরো প্রধান সরকার মাজহারুল মান্নান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.