উজিরপুর মডেল থানার দুই ওসি প্রত্যাহার

উজিরপুর প্রতিনিধি: উজিরপুর হত্যা মামলার প্রধান নারী আসামীকে রিমান্ডে নিয়ে যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের অভিযোগে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল আহসান ও ওসি (তদন্ত) মোঃ মাইনুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান আজ সোমবার (০৫ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান জানান, উজিরপুর থানার পরিদর্শকের (তদন্ত) বিরুদ্ধে নারী আসামি মিতু ভাংড়া (৩৫)কে রিমান্ডে নিয়ে যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
এ ছাড়াও ওই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে ওসি জিয়াউল আহসানকেও প্রত্যাহার করা হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ জুন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নের জামবাড়ি এলাকা থেকে বাসুদেব চক্রবর্তী নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ২৭ জুন বাসুদেবের ভাই বরুণ চক্রবর্তী বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন। সেখানে ওই নারী মিতু ভাংড়াসহ অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ থেকে ছয় জনকে আসামি করা হয়। ওই নারীর সঙ্গে বাসুদেবের পরকিয়া ছিল বলে দাবি করেন বরুণ চক্রবর্তী।
পরে মামলার আসামী হিসেবে ওই নারীকে থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে। এরপর থানা পুলিশের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৩০ জুন বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান উজিরপুর আমলী আদালত ওই নারীর দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত শুক্রবার (০২ জুলাই) তাঁকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এ সময় ওই নারীকে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখে এর কারণ জানতে চান আদালত। ওই আসামী পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁকে শারীরিক নির্যাতন ও যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। আদালত একজন নারী কনস্টেবল দিয়ে পরীক্ষা করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান।
আদালত তাঁর যথাযথ চিকিৎসা এবং নির্যাতনের বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে। এরই মধ্যে হাসপাতাল পরিচালক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন, যাতে আঘাতের চিহ্নের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আঃ রহিম সরদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.