উজিরপুরে হুহু করে বাড়ছে মাছ, মাংস, ডিম, গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম, দিশেহারা ক্রেতা

 

উজিরপুর প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে উজিরপুরে হুহু করে বাড়ছে মাছ, মাংস , ডিম ও জালানি গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বয়লার মুরগির মাংস কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। যা কিছু দিন পুর্বে ছিল ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকা।
গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়, যা কিছু দিন পুর্বে ছিলো ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা। লেয়ার ও সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকায়। ডিমের দাম কছুটা কমলেও আবার চরা দামে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।
জালানি কাজে ব্যাবহ্রত গ্যাস বিক্রি হচ্ছে বসুন্ধরা ১৭ শত টাকা, টোটাল ১৫৫০ থেকে অন্যান্য কোম্পানির গ্যাস বিক্রি হচ্ছে ১৪৫০ টাকা পর্যন্ত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্যাস বিক্রেতা জানান ডিলাররা মাল কম সাপ্লাই দেখিয়ে খামখেয়ালি খাবে দাম বাড়াচ্ছে। ইলিশ এক কেজি করে প্রতি পিচ ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিংড়ি মাছ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১৫ শত টাকায়। তরমুজ বড় প্রতি পিচ ৪ শত থেকে ৫ শত টাকায়। ২ শত টাকার কমে তেমন কোনো তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে না। লাগামহীন পোশাক ও কাপর-চোপরের দাম, যে যার মতো করে ক্রেতাদের পকেট খালি করছে। নেই কোন তদারকি।
সরেজমিনে উজিরপুর, ধামুড়া, শিকারপুর, সাতলা, হারতা, ওটরা, গুঠিয়া সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের মাংস বাড়তিতে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছে। তবে খাসির মাংসও প্রতি কেজি ১১০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মুরগীর মাংসের দাম।
ক্রেতারা বলছেন, ঈদকে সামনে রেখে কয়েকদিন আগে থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এখন সেটা অসহনীয় পর্যায়ে পৌছেচে। বাজারে লেগেছে ঈদের হাওয়া। যে যার খুশিমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে ক্রয়ের জন্য যাই ধরা হয়, সেটারই দাম বেশি। চার-পাঁচদিন আগেও মুরগি ছিল কেজি ২০০ টাকা, কিন্তু এখন দাম বেড়ে ২৫০ টাকা। বাজার করতে আসা শফিকুল ইসলাম বলেন, দিনদিন মাছ-মাংস, ডিমের দাম বেড়েই চলেছে।
গত সপ্তাহের তুলনায় আজকে দেখছি মাছের বাজার চড়া। যেকারণে কিনতে গেলেও বারবার হিসেব করতে হয়। এখন আর আগের মতো প্রতি সপ্তাহেই মাছ , মাংস কেনা যায় না।
আয়শা বেগম নামক আরেক ক্রেতা বলেন, বাজারে ব্রয়লার থেকে শুরু করে মুরগিসহ সব ধরনের মাংস বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। বলতে গেলে নিয়মিত এসবের দাম বাড়ছে, দাম নিয়ন্ত্রণে থাকছে না কখনোই। রমজান মাস শুরু হওয়ার পর থেকে পাঁচ টাকা দশ টাকা বাড়তে বাড়তে ব্রয়লার মুরগির দাম এখন ২৫০ টাকা কেজি ।
তিনি আরো বলেন, বাজারে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার থাকলে কেহ এভাবে খেয়াল খুশি মতো দাম বাড়াতে পারতো না ।
গরুর মাংস বিক্রেতা আনোয়ার ও বাদশা জানান, গরুর মাংস বিক্রি করছেন ৭৫০ টাকা কেজি। তবে ঈদে আরো বারতে পারে। তাদের ভাষ্যমতে, এরপরও তারা লাভের মুখ তেমন দেখতে পারছেন না। কারণ হিসেবে বলেন, বাজারে গরুর দাম চড়া, যেকারণে বাধ্য হয়েই মাংসের দাম বাড়াতে হয়েছে।
মুরগির খামারী নাসির উদ্দীন গোমস্তা বিটিসি নিউজকে জানান, মুরগির মাংস ও ডিমের দাম বেশি হওয়ার জন্য দায়ী সরকার , কেননা মুরগির খাবারের দাম অনেক বেশি , নেই কোন নিয়ন্ত্রণ। তার পরেও খামার দিন দিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ডিমের দাম আরো বারতে পারে । চড়া দামের কারনে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পরেছে নিম্ন আয়ের মধ্যবিত্ত পরিবার।
এ ব্যাপারে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বিটিসি নিউজকে জানান, আমাদের বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। কেহ অতিরিক্ত মুল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রি করলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আ: রহিম সরদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.