উজিরপুরে লকডাউন মানছেনা অধিকাংশ মানুষ, ভয়াবহ পরিস্থিতির আশংকা

উজিরপুর প্রতিনিধি: প্রথমে চীনের উহান শহড় থেকে মহামারী করোনার শুরু হয়। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে সর্ক প্রথম করোনার ভয়াল গ্রাসে আক্রান্ত শুরু হয়।
দিন দিন করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করতে ২৬ মার্চ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশ লকডাউন এবং সাধারণ ছুটি ঘোষণা দেয়। তবে দফায় দফায় ছুটির দিন বাড়ানো হয়েছে। দেশের কিছু কিছু জেলা উপজেলা সরকারের ঘোষণা লকডাউন মানলেও অধিকাংশ জেলা-উপজেলায় তা মানছে না।
এর মধ্যে বরিশালের উজিরপুর পৌরসভায় সরকারি আইন মানলেও ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে করোনা মোকাবেলায় লকডাউনকে নিয়ে চোর-পুলিশ খেলা খেলছে অধিকাংশ মানুষ।
লকডাউন উপেক্ষা করে অসচেতনতার নিজের পায়ে নিজেই কুড়ালের আঘাতে করছেনাত প্রশ্ন সচেতন মহলের। আতঙ্কে সচেতন মহল। দেশ দিন করোনার প্রকল্প বাড়ায় হতাশ হচ্ছে মানুষ। লকডাউন না মানায় আগামী ১ মাসের মধ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতির আশংকা করছে সচেতন মহল।
সরোজমিন ঘুরে দেখা যায় উজিরপুর উপজেলা, শিকারপুর, বামরাইল, শোলক, ধামুরা , হারতা,সাঁতলা, ওটরা,বামরাইল ও শোলক ইউনিয়ানের  বিভিন্ন স্থানে লকডাউনকে উপেক্ষা করে অবাধে চলছে সাপ্তাহিক বাজার এবং মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
এছাড়াও পুলিশ মোহরায় বের হলে অসাধু ব্যবসায়ীরা দোকানপাট সাময়িক বন্ধ করে। পুলিশ চলে গেলে পুনরায় পূর্বেও ন্যায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখে। অপরদিকে করোনা ও মাহে রমজানকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য-দ্রব্যের মূল্য দ্বিগুণ হারে হাতিয়ে নিচ্ছে।
এছারাও আগামী ঈদুল ফিতরকে ঘিরে দিনে ও রাত্রে কাপরের দোকানগুলিতে মানুষের কমতি নেই। নারী ও পুরুষরা কেনা কাটার জন্য বাজার ও কাপরের দোকানে প্রতিনিয়ত ভিড় জমাচ্ছে আগের মত।
উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতায় গত একমাস ধরে লকডাউন কিছুটা মানলেও বর্তমানে তা যেন আর নেই। সব কিছুই ঠিক আগের মতই চলছে।
দেশবাসীকে মহামারি করোনার কবল থেকে রক্ষা পেতে লকডাউন অমান্যকারী এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়ে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রনতি বিশ্বাস ও মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউল আহসানের সু-দষ্টি কামনা করেন সচেতন মহল।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আঃ রহিম সরদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.