উজিরপুরে বিএনপি নেতার দাপটে অতিষ্ট এলাকাবাসী , প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

উজিরপুর প্রতিনিধি: উজিরপুরে বিএনপি নেতার দাপটে অতিষ্ট এলাকাবাসী। এক যুবকসহ কয়েকটি অসহায় পরিবারকে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানিসহ ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের কালিহাতা গ্রামের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাওলাদার তার চাচী রাহিমা বেগম ও হালিমা বেগমকে কুপরামর্শ দিয়ে একই বাড়ির মৃত মোস্তফা হাওলাদারের ছেলে মশিউর হাওলাদার (৩৫) এর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ আর্থিক ক্ষতি সাধন করেছে।

এ ছাড়াও ঐ এলাকার কয়েকটি পরিবারকে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে মাসুদ হাওলাদারের কুপরামর্শে রাহিমা বেগম বাদী হয়ে বরিশাল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৫ মে লাল মাহমুদ ফকির, হোসেন আলী খোন্দকার, ছালাম খোন্দকার, কাওছার খোন্দকার, আল আমিন খোন্দকার, সাকিব খোন্দকার, হাসিনা বেগম, নার্গিস বেগম, সামছু শরীফ, শহিদুল ইসলাম মিন্টু, বেলা বেগম, আবুল হাসান মন্টু, মশিউর হাওলাদার, চুন্নু শরীফসহ ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করে যার সি.আর কেস নং-১১৭/২০১৯।

ঐ মামলা বাজদের আতঙ্কে এলাকার যুবক থেকে শুরু করে শতশত নারী ও পুরুষ। এমনকি বেলা বেগম ৬ মাস পূর্ব থেকে দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন থাকা সত্ত্বেও রাহিমা বেগমের মামলা থেকে রেহাই পায়নি।

আরো জানা যায়, মশিউর হাওলাদারের সাথে রাহিমা বেগমদের সাথে জমি নিয়ে কোন বিরোধ নেই। মাসুদ হাওলাদার পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার চাচীকে দিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারসহ বিভিন্ন মামলায় জড়াচ্ছে মশিউরকে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাসুদ হাওলাদার বিটিসি নিউজকে জানান, আমি কাউকে কুপরামর্শ দিয়ে মামলায় জড়াইনি। রাহিমা বেগমের সাথে বার বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে রং নম্বর বলে কেটে দেয়।

ধান কাটা মামলার ২ নং সাক্ষী জাকির খান বিটিসি নিউজকে জানান, আমিত কিছুই জানি না, কি করে সাক্ষী হলাম ? অসহায় যুবক মশিউর হাওলাদার জানান, আমি বেকার, কোন রকম অন্যের জমি চাষ করে দুমুঠো আহার যুগিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেঁচে আছি।

আমার সাথে জমিজমা নিয়ে কোন বিরোধ নেই। এমনকি ধান কাটার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। ঐ মামলাবাজদের কবল থেকে রক্ষা পেতে ভূক্তভোগী পরিবার প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আঃ রহিম সরদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.