উজিরপুরে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক বিদেশ ফেরত ৩শত ৭৫জন, হোম কোয়ারান্টাইনে মাত্র ২৬ জন, নেই কোন নজরদারী

উজিরপুর প্রতিনিধি: বরিশালের উজিরপুরে বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের কারনে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে পুরো উপজেলা, কেহই মানছেন না স্বাস্থ্যনীতি। যে যার মত অবাধে ঘোরাফেরা করছে। সরকারি পরিসংখানে বিদেশ থেকে উজিরপুরে ৩শত ৭৫জন আগতদের তালিকা থাকলেও হোম কোয়ারান্টাইনে থাকছে মাত্র ২৬ জন।

বাকীদের অবাধ চলাফেরা ও পালিয়ে থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে পুরো এলাকায়। এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের শনাক্ত না হলেও আতঙ্ক কাটতেছে না কারো মনে। রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে প্রশাসন পর্যন্ত নেই কারো নজরদারী।

যে যার সেইফ লাইনে থাকার চেষ্টা করছে। ওয়ার্ড পর্যায় করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় নেই কোন কমিটি। যারা হোম কোয়ারান্টাইনে থাকবে তাদের দেখভাল করা থেকে শুরু করে খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসার নেই কোন প্রস্তুতি। বিদেশ থেকে আগতরা হোম কোয়ারান্টাইন থাকার উৎসাহ পাচ্ছে না বলে জানান স্থানীয়রা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রস্তুত করা হয়েছে নামমাত্র আইসোলেশন ওয়ার্ড। উজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ মজিদ সিকদার বাচ্চু জানান সরকারিভাবে ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় কমিটি হওয়ার কথা রয়েছে। তবে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকা পরিবারদের ব্যাপারে সহযোগীতার কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।

আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এর ভয়াবহতা নির্ধারন করা যেতে পারে। তবে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস শনাক্তদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখার ব্যাপারে সহযোগীতা প্রদান করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণতি বিশ্বাস জানান সরকারি পর্যায়ে প্রতিটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে একটি কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটি বিদেশ থেকে আগতদের হোম কোয়ারান্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করবে।

উপজেলা পর্যায়ে শনাক্তকরন কোন কিট দেওয়া হয়নি। তবে রোগের লক্ষন দেখা গেলে উপজেলা কমিটির মাধ্যমে জেলার আইসোলেশন ওয়ার্ডে প্রেরণ করা হবে। পৌর মেয়র মোঃ গিয়াস উদ্দিন বেপারী জানান করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের ব্যাপারে কমিটি করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা শওকত আলী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, করোনা ভাইরাজ মোকাবেলায় আমাদের কোন প্রতিরোধক ব্যবস্থা নেই, নেই কোন শনাক্তকরন কীট, তবে সচেতনতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত। উপজেলায় ১ মার্চ থেকে বিদেশ থেকে ৩শত ৭৫জন প্রবাসীর আগমনের তথ্য পাওয়া গেছে এদের মধ্য থেকে ২৬জনকে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে।

রোগীদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত উপজেলায় করোনা ভাইরাস রোগের কোন রোগী শনাক্ত হয়নি। মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল আহসান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের কোন প্রতিরোধক ব্যবস্থা নেই তবে প্রবাসীদের হোম কোয়ারান্টাইনে রাখার ব্যাপারে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আঃ রহিম সরদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.