উজিরপুরে অসহায় নারীর জমি জোরপূর্বক দখলের পায়তারা

উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুরে ওয়ারিশ মূলে মালিক অসহায় নারীর শেষ সম্বল ভিটে-মাটি বসত বাড়ীর জমি দখলের পায়তারা চালাচ্ছে আপন দুই ভাই। এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায় উপজেলার শোলক ইউনিয়নের ধামুরা গ্রামের মৃত আঃ হাকিম ফকিরের মেয়ে মোসাঃ আমিনা বেগম (৪৩) তার বাবা মারা যাওয়ার পরে ওয়ারিশ মূলে সাড়ে ৮ শতাংশ জমি প্রাপ্ত হয়।

হারাহারি মতে ৩৪ নং ধামুরা মৌজায় এস.এ খতিয়ান নং-৪০৫, ৬৬৬, ৩৯৩, ৪,যাহার দাগ নং-২৭০০, ২৭০২, ২৭০৩, ২৭০১, ২৭০৪, ২৭৮৬, ২৭৭৯, ২৭৮০, মোট জমির পরিমান ৪৫ শতাংশ যাহার ডিপি খতিয়ান নং- ১৩৪,যাহার দাগ নং-৩৯১৪, ৩৯১৫, ৩৮৪২,এর মধ্যে সাড়ে ৮ শতাংশ জমিতে ভিটা,বাগান বাড়ী ও বসতঘর করে দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ দখল করে আসছে।

অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে আপন ভাই ভুমিদস্যু ছালাম ফকির ও কালাম ফকির মিলে ঐ জমি জোরপূর্বক দখলের মিশনে নামে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ সেপ্টেম্বর ঐ ভুমিদস্যুরা একদল ভারাটে সন্ত্রাসী নিয়ে আপন বোনের ভোগদখলীয় জমিতে রোপিত গাছ কেটে তান্ডব চালিয়ে জোরপূর্বক পাকা ভবন নির্মান করতে যায়। এতে স্থানীয়দের বাধার মূখে দখল মিশন পন্ড হয়ে যায়।

ভুমিদস্যুরা তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে না পেরে পরবর্তীতে বোনকে প্রানে মেরে ফেলে জমি দখল করবে বলে হুমকী দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপার সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে অসহায় বোন মোসাঃ আমিনা বেগম বাদী হয়ে ৮ সেপ্টেম্বর বরিশাল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ভাই ছালাম ফকির ও কালাম ফকিরসহ ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে।

এ বিষয়ে আমিনা বেগম কান্নায় ভেঙ্গে পরে বিটিসি নিউজকে জানান অন্যের জমি দখল করা তাদের নেশা ও পেশা। শেষ পর্যন্ত আমাকেও ছাড় দেয়নী আমার ভাইয়েরা। আমাকে এলাকা ছাড়ার হুমকী দিয়ে আমার বসতবাড়ীর ভিটেমাটি থেকে উৎখাতের পায়তারা চালাচ্ছে ঐ ভুমিদস্যুরা।

তাদের ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে আমাকে। অভিযুক্তদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। অসহায় নারী ভুমিদসু্যূদের কবল থেকে ভিটে-মাটি ও বসতবাড়ীর জমি দখল মূক্ত রাখতে প্রশাসনের উর্দ্বোতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আঃ রহিম সরদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.