উজিরপুরের জল্লায় ১০ কিঃ মিটারের মধ্যে একমাত্র মসজিদ নির্মান উদ্যোক্তা ছাত্রলীগ নেতা

 

উজিরপুর প্রতিনিধি:বরিশালের উজিরপুরে জল্লায় ১০ কিঃ মিটারের মধ্যে একমাত্র মসজিদ নির্মানের উদ্যোক্তা ছাত্রলীগ নেতা। ক্যাম্প পুলিশের মুসলমান সদস্যদের নামাজ আদায়ে সুবর্ন সুযোগ। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্জল হিন্দু অধ্যষিত এলাকা জল্লার কুড়লিয়া বাজার । এক সময় সর্বহারাদের অভয়াশ্রম হিসেবে পরিচিত ছিল।

কয়েক যুগ পূর্বে ওই এলাকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কুড়লিয়া বাজারের নিকটবর্তী একটি পুলিশের ক্যাম্প নির্মান করা হয়। আর.আর.এফ পুলিশের ১৫-২০ জন সদস্য প্রতিনিয়ত দায়িত্ব পালন করত আর এদের মধ্যে ২/১ জন বাদে সকলককে মুসলমান হওয়ায় দূরে গিয়ে নামাজ আদায় করতে হতো। এমনকী নিকটবর্তী মসজিদ না থাকায় ক্যাম্পের অস্ত্র গোলাবারুদ রেখে নামাজ আদায় করতে যেতে পারতনা।

কয়েকবছর পূর্বে ক্যাম্পের একটি ভাঙা কক্ষে জুমার নামাজ বাদে ৬ দিন নামাজ আদায় করতো। শুক্রবার হলেই ১০ কিঃ মিটার দূরে ধামুরার নিকটবর্তী বাহেরঘাট এলাকায় অথবা উত্তরে আগৈলঝাড়া, দক্ষিণে মুন্সিরতাল্লুক, পশ্চিমে সাতলা এলাকায় গিয়ে জুমার নামাজ আদায় করতে হতো। গত ফেব্রুয়ারী মাসে বাহেরঘাট সৌদি মার্কেট এলাকার সেলিম হাওলাদারের ছেলে ঢাকা মহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাব্বি হাওলাদার ক্যাম্পে ঘুরতে এসে নামাজ আদায় করতে গিয়ে বিব্রোতবোধ করেন।

তিনি তাৎক্ষনিক ক্যাম্প ইনচার্জকে ডেকে মসজিদ নির্মানে সহযোগীতার আশ্বাস দেন। ৯ ফেব্রুয়ারী ক্যাম্পের ভিতরে ছোট পরিসরে মসজিদের নির্মান কাজ শুরু হয়। এর পরে সহযোগীতার হাত বারান বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড: তালুকদার মোঃ ইউনুস। তিনি মসজিদের জন্য একটি গভীর নলকুপ, দরজা জানালার সকল লোহার গ্রিল সহ অন্যান্য সামগ্রী প্রদান করেন।

এলাকার এক সৌদি প্রবাসী স্বেচ্ছায় ১ টন ৭০ কেজি রড প্রদান করেন। হারুন অর রশিদ নামে এক ইনকাম ট্যাক্স অফিসার ৩৫ বস্তা সিমেন্ট প্রদান করেন এভাবেই একের পর এক মসজিদ নির্মানে সহযোগীতার হাত প্রসারিত হয়, এভাবেই গড়ে ওঠে এই মসজিদটি। এব্যাপারে ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি হাওলাদারের কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান এখানে ১০ কিঃ মিটারের মধ্যে কোন মসজিদ নেই।

ক্যাম্পের মুসলমান সদস্যরা দীর্ঘদিন পর্যন্ত একটি ভাঙা কক্ষে নামাজ আদায় করে। এটি দেখে আমি মসজিদ নির্মানের উদ্যোগ নেই। ক্যাম্পের ইনচার্জ এস.আই হুমায়ুন কবির জানান বর্তমানে ক্যাম্পে ১৭ জন সদস্য রয়েছে এর মধ্যে ১৫ জনই মুসলমান জুমার দিন ৮/১০ কিঃ মিটার দূরে গিয়ে নামাজ আদায় করতে হয়। এজন্য ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়।

বিষয়টি দেখে এক ছাত্রলীগ নেতা স্থানীয়দের সহযোগীতায় মসজিদের কাজ নির্মান করেন। বর্তমানে মসজিদের নির্মান কাজ শেষের পথে। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সদস্য উর্মিলা বাড়ৈ জানান এই মসজিদ নির্মানে ক্যাম্পের মুসলমান সদস্যদের নামাজ পড়তে আর দূরে যেতে হবে না।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.