উজিরপুরের কালিহাতা মাহমুদিয়া আলিম মাদ্রাসার ছাদ ধ্বসে পরে দুর্ঘটনার আশঙ্কা আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

উজিরপুর প্রতিনিধিঃ  বরিশালের উজিরপুরে কালিহাতা মাহমুদিয়া আলিম মাদ্রাসার জরাজীর্ন ভবনের ছাদ ধ্বসে পরে র্দুঘটনার আশঙ্কা। চরম আতঙ্কে শিক্ষার্থী, অভিবাবক ও শিক্ষকরা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ১৯৭৫ সালে মাদ্রাসার ভবনটি নির্মিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন সংস্কারের কাজ হয়নী। তাই ভবনের ছাদটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।

ওই মাদ্রাসায় বর্তমানে ৪ শত শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছে। দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। শিক্ষার্থীরা লেখা পড়ায় উৎফুল্ল থাকলেও মাদ্রাসার জরাজীর্ণ ভবনটির বেহাল দশার কারনে আতঙ্কে রয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

এ অবস্থায় অভিবাবকরা ভয়ে শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসায় পাঠাতে সাহস পাচ্ছেনা। এ ছাড়াও বৃষ্টি হলে ছাদ থেকে পানি পরে রুম তলিয়ে যায়। একদিকে ভবনের ক্লাস রুমে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে থাকে অপর দিকে বৃষ্টির পানিতে ভিজে অফিস কক্ষের মূল্যবান কাগজপত্র নষ্ট হওয়ার উপক্রম।

এ ভাবে জরাজীর্ণ ভবনে ভয়,ডর,শঙ্কা নিয়ে লেখা পড়া আর কত দিন চলবে প্রশ্ন রাখেন শিক্ষার্থীরা! মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুখতার হোসাইন সাংবাদিকদের জানান প্রথমে মাত্র ২৫/৩০ জন ছাত্র ছাত্রী অধ্যায়ন করতো এই মাদ্রাসায় কিন্তু আজ আমাদের প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রীর ৪ শত ছাড়িয়ে গেছে।

আমাদের মাদ্রাসার মেধাবী শিক্ষার্থীর হার ও পাশের হার পার্শ্ববর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে অনেক গুন বেশী। তিনি আরো জানান বর্তমান সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষিত জাতি উপহার দেয়ার প্রতিশ্রতি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জণ্য আজকের কোমলমতি শিক্ষার্থীরাই আগামী জাতির পরিচালক হয়ে অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে।

তাই তাদের আতঙ্ক ছাড়াই লেখাপড়া করার সুযোগ এবং র্দুঘটনা থেকে রক্ষা পেতে অচিরেই মাদ্রাসার নতুন ভবন নির্মানের দাবী জানান তিনি। অবিভাবকরা জানান মাদ্রাসার ভবনটি জরাজীর্ন অবস্থা এবং ছাদ ফেটে চৌচির হওয়ায় আমাদের সন্তানদের মাঠে পাঠিয়ে প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকতে হয়।

এ দিকে মাদ্রসার নতুন ভবন অচিরেই নির্মানের দাবী জানিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থী, অভিবাবক,শিক্ষক ও এলাকাবাসী গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মনির সু-দৃষ্টি কামনা করেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আঃ রহিম সরদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.