উইন্ডিজকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: চার উইকেট শিকার করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে রীতিমতো চেপে ধরেছে টাইগার বাহিনী। শরিফুল ইসলামের পর স্বাগতিক শিবিরে আঘাত হেনেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও খালেদ আহমেদ।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪ উইকেটে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ১৩২ রান। কাইল মায়ার্স শূন্য রানে ও জারমেইন ব্লাকউড ১ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন। বাংলাদেশের চেয়ে তারা এখনো পিছিয়ে আছে ১০২ রানে।
ওপেনার ক্রেগ ব্রাথওয়েটকে সরাসরি বোল্ড করেন মেহেদী। ১০৭ বলে ৫১ রান করে ফিরে যান উইন্ডিজ ক্যাপ্টেন। খালেদের বলে রেইফার আউট হন ২২ রান করে। নিজের ১১তম ওভারের প্রথম বলে রেইফারকে ফেরান খালেদ। শেষ বলে তিনি শিকার করেন বোনারের উইকেট। শূন্য রানে ফিরে যান বোনার।
স্বাগতিক দলের উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছিলেন শরিফুল ইসলাম। তারা দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল ৬৭ রান নিয়ে। ৩২ রান নিয়ে জন ক্যাম্পবেল ও ৩০ রান নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন ক্রেগ ব্রাথওয়েট। টাইগার পেসারের শর্ট খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে সোহানকে ক্যাচ দেন ক্যাম্পবেল। হাফসেঞ্চুরি থেকে ৫ রান দূরে থাকতে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
প্রথম দিন বল হাতে আধিপত্য দেখিয়েছিলেন উইন্ডিজের পেসাররা। টাইগারদের প্রথম ইনিংসে স্বাগতিক দলের সাত বোলারের পাঁচজনই পান উইকেটের দেখা। দুই দফায় জীবন পাওয়ার পর টাইগার ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে সাজঘরে ফেরান অভিষিক্ত অ্যান্ডারসন ফিলিপ। জয়কে বোল্ড করে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ভাঙেন তিনি। টাইগার ওপেনার ৩১ বলে করেন ১০ রান। অন্যদিকে ৪ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল।
আলজারি জোসেফের বলে পয়েন্টে থাকা জারমেইন ব্লাকউডকে ক্যাচ দেন তামিম। ৬৭ বলে ৯ চারে ৪৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। দলীয় রান স্থির থাকতে আউট হন শান্ত। কাইল মায়ার্সের বলে তিনিও এলবিডব্লিউর ফাঁদে পা দেন। ফেরার আগে ৭৩ বলে করেন ২৬ রান। দলীয় ১০৫ রানে অ্যান্ডারসন ফিলিপের শিকারে পরিণত হন এনামুল হক বিজয়। ব্যাক্তিগত ২৩ রানে বিদায় নিতে হয় দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ডাক পাওয়া এ ব্যাটারকে। নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনজনই আউট হন দুই অংকে পৌঁছার আগে।
এবাদত হোসেনকে নিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের ১৪তম ফিফটি হাঁকিয়ে নেন লিটন। ততক্ষণ সাচ্ছন্দ্যেই খেলছিলেন এ উইকেটকিপার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনিও বিদায় নেন বাজে শটে ক্যাচ তুলে দিয়ে। আলজারি জোসেফের করা শর্ট বল পুল করতে গিয়ে ধরা দেন মিড উইকেটে থাকা ব্রাথওয়েটের হাতে। ৭০ বল মোকাবিলায় ৫৩ রান করেন লিটন। তার ইনিংসটি ৮টি চারের মারে সাজানো ছিল। এরপর ক্রিজে এসে ক্যারিবীয় বোলারদের একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নাস্তানাবুদ করতে থাকেন শরিফুল ইসলাম। এবাদতের সঙ্গে গড়ে তোলেন ৩৬ রানের জুটি।
সিলসের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে শরিফুলের ব্যাট থেকে ১৭ বলে আসে ২৬ রান। টেস্ট ক্রিকেটে এটিই তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এরপর ক্রিজে নেমে এবাদতকে অবশ্য সঙ্গ দিতে পারেননি খালেদ আহমেদ। ১ রান করেই তিনি শিকার সিলসের। আর তাতে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থামে ২৩৪ রানে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.