ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের টিটিই হেডকোয়ার্টারে অনিয়ম ও দূর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে


ক্রাইম (পাবনারিপোর্টার: ঈশ্বরদী টিটিই হেড কোয়ার্টারে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিস্তার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সব অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্যে সরকারী রাজস্ব ফাঁকি চাকরিতে না যেয়ে ভুয়া মাইলেজ উঠানো সহ নানা অনিয়মের বিষয়ে ধারাবাহিকতা লেখার—(১ম পর্ব)
বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশি বিভাগীয় সদর দপ্তর সহ রেলওয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ ও আমাদের অনুসন্ধানী টিমের অনুসন্ধানে উঠে আসে রেলওয়ে বড় জংশন স্টেশন ঈশ্বরদী (টিটিই) হেডকোয়ার্টারের অনিয়ম ও সরকারী রাজস্ব আত্বসাতের চিত্র।
গত ০২-০৬-২০২১ খ্রিঃ তারিখের ঈশ্বরদী (টিটিই) হেড কোয়ার্টারে ডিউটি রোষ্টার হতে দেখা যায় এস আর আই (ভারপ্রাপ্ত) টিটিই ঈশ্বরদীর অন্যতম দুর্নীতির হোতা মোঃ মাবুদ এর  নির্দেশ ক্রমে জনাব মোঃ গোলাম কিবরিয়া, জুনিয়র টিটিই ঈশ্বরদীকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে এবং তার স্বাক্ষর জায়গা ফাঁকা রয়েছে। অথচ উক্ত এস আর আই/টিটিই/ ঈশ্বরদী গত ০৩-০৬-২০২১ হতে ০৬-০৬-২০২১ খ্রিঃ তারিখে উক্ত টিটিইকে ডিউটি রোষ্টার খাতায় নৈমিত্তিক ছুটি (সি এল) এবং সংরক্ষিত রেজিস্টার খাতায় ব্লক চেকিং দেখিয়েছেন। কিন্ত জুনিয়র এই (টিটিই) মোঃ গোলাম কিবরিয়া এর মাইলেজ জার্নাল হতে দেখা যায় ০২-০৬-২০২১ হতে ০৬-০৬-২০২১ খ্রিঃ পর্যন্ত ব্লক চেকিং করতঃ ০৮ ঘন্টা করে মাইলেজ ভাতা অবৈধ ভাবে তুলে নিয়েছেন । যাহা এস আর আই (ভারপ্রাপ্ত) টিটিই অনিয়মের গডফাদার মোঃ আব্দুল মাবুদ ঈশ্বরদী কর্তৃক পর্যবেক্ষন করতঃ স্বাক্ষর করা হয়েছে।
যাতে করে সরকারী অর্থ ক্ষতি সাধন সহ দুর্নীতি প্রকাশ পায়। যা কিনা স্টেশনের সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষন করলে অবৈধ মাইলেজ গ্রহণকারী কর্মচারী ব্লক চেকিং কার্যক্রমে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি পরিলক্ষিত হবে।
এদিকে ঈশ্বরদী টিটিই হেড কোয়ার্টারের দীর্ঘদিন যাবৎ ডিউটি রোষ্টার অনুযায়ী টিটিইদের কর্তব্য পালন হতে বিরত রাখা হয়েছিল বলে সুত্র মতে জানাযায়।
অপরদিকে এস আর আই (ভারপ্রাপ্ত) টিটিই/ঈশ্বরদী মোঃ মাবুদ তার ক্ষমতাবলে অর্থ উৎকোচের বিনিময়ে  কিছু টিটিইকে ডিউটি সুবিধা  দিয়ে থাকে বলে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে জানা গেছে। এছাড়া (মাসের বেশীর ভাগ তারিখে ব্লক চেকিং) প্রদান করেন এবং অন্যান্য টিটিইদের বিভিন্ন ট্রেনে তার নিজ ইচ্ছা স্বাধীন মোতাবেক ডিউটি প্রদান করে থাকে।
তাছাড়া অনিয়মের গডফাদার  মোঃ মাবুদ এস আর আই (ভারপ্রাপ্ত) সহ অন্যান্য টিটিইগণের ডিউটি রোষ্টার অনুযায়ী ট্রেনে গন্তব্যের শেষ স্টেশনে কর্তব্য পালনের কথা থাকলেও টিটিইগণ প্রায়শই পথিমধ্যে নেমে যান এবং অন্য টিটিই বা কোন ট্রেনে কর্তব্য পালনকারী অন্য কর্মচারীর মাধ্যমে ক্যাশ প্রেরণ করে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
অথচ টিটিই (রুলস) অনুযায়ী গন্তব্যে শেষ স্টেশনে গিয়ে নিজ হস্তে মানি রশিদ স্বাক্ষর পূর্বক মাইলেজ দাবী করার নিয়ম থাকলেও তা যথাযথ ভাবে নিয়মের তোয়াক্কাই  মানা হচ্ছে না।
এস আর আই (ভারপ্রাপ্ত) টিটিই ঈশ্বরদী আব্দুল মাবুদ সহ ঈশ্বরদী কয়জন টিটিই প্রায়শই পথিমধ্যেনেমে পুরো মাইলেজ ভাতা করছে বলে অভিযোগ আছে। এস আর আই (ভারপ্রাপ্ত) টিটিই ঈশ্বরদীর অনিয়মের বরপূত্র আব্দুল মাবুদ অর্থ ঘুষের মাধ্যমে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচর না করে কৌশলে এড়িয়ে উক্ত অনিয়ম করতে সহয়তা করে চলেছে বলে আমাদের অনুসন্ধান ও অভিযোগ থেকে জানা যায়। যার ফলে সরকারী ব্যাপক রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে।
অপরদিকে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ (ডিসিও পাকশী) দপ্তরে প্রতি মাসের ডিউটি রোস্টার প্রেরণের নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না এবং ডিসিও দপ্তরের ডিলিং ক্লার্ক বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েও নিশ্চুপ থাকে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়।
এ ব্যাপারে পাকশি বিভাগীয় ডিবিশন্যাল ম্যানেজার মোঃ শাহিদুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি এসব বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান, তবে বিষয়টি তদন্তাধীন অবস্থায় আছে। তবে এই লিখিত অভিযোগ দেয়া প্রায় মাসাধীক কাল পার হলেও কোন ব্যাবস্হা হয়নি।
এদিকে লিখিত অভিযোগ কারী সাংবাদিক রাকিব বিশ্বাসের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি অনিয়ম ও দুর্নীতির ডকুমেন্টারি অভিযোগ দাখিল করেছি কিন্তু আদৌ কি এই অভিযোগের বিষয়টি আলোর মুখ দেখবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ক্রাইম (পাবনারিপোর্টার মো: ময়নুল ইসলাম লাহিড়ী মিন্টু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.