ইয়েমেনে বিয়ের অনুষ্ঠানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত-৫ নারী

(ইয়েমেনে বিয়ের অনুষ্ঠানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত-৫ নারী)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে বিয়ের অনুষ্ঠানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৫ নারী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার (০১ জানুয়ারী) খ্রিস্টীয় নতুন বছরের প্রথম দিন বন্দরনগরী হুদাইদায় হতাহতের এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
হুদাইদা বিমানবন্দরের কাছে বিয়ের অনুষ্ঠানে এ হামলার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছে সরকার এবং হাউথি বিদ্রোহীরা। হাউথিদের নিয়ন্ত্রণাধীন শহরটি পুনরুদ্ধারে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে সরকারি বাহিনী।

এর আগে এডেন বিমানবন্দরে হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়। ওইদিন বিমানে করে সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য এবং কর্মকর্তারা। বিমান বন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

হামলায় ইন্টারন্যাশনাল রেড ক্রসের দুই কর্মী নিহত হয়েছে। একজন এখনো নিখোঁজ বলে জানানো হয়।

গত বুধবারের ওই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। ইরান সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী হাউথিরা হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পরে সৌদি জোট জানায়, প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে হামলা চেষ্টার সময় বিস্ফোরকভর্তি একটি ড্রোন তারা ভূপাতিত করেছে।

জাতিসংঘ যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ দলের সরকারি প্রতিনিধি জেনারেল সাদেক দৌদি হুদাইদা বিস্ফোরণের নিন্দা জানিয়েছেন। ওই হামলায় আহত হয় আরও ৭ জন। সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালিয়ে হাউথি বিদ্রোহী জঘন্য অপরাধ করেছে বলেও মন্তব্য করেন।

হাউথি নিযুক্ত হুদাইদার গভর্নর মোহাম্মদ আয়াচে শিয়া বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টিভিকে বলেন, আগ্রাসী সরকারি বাহিনী নিজের অন্যায়ের জন্য অন্যকে দোষারোপে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না।

২০১৮ সালে হুদাইদা পুনরুদ্ধারের জন্য হাউথিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে সৌদি জোট। দরিদ্রপীড়িত ইয়েমেনের বাসিন্দাদের মানবিক ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য প্রধান বন্দর ওই হুদাইদায় অবস্থিত। ওই বছর থেকেই সেখানে আংশিকভাবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। যা জাতিসংঘের তত্বাবধানে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

দক্ষিণাঞ্চলে সংঘাতে জড়িত বড়গোষ্ঠী দুটি হলো হাদি বাহিনী এবং এসটিসি। ইরান সমর্থিত হাউথিদের দখলে রাজধানী সানাসহ উত্তরাঞ্চল। বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি জোটের সহায়তায় যুদ্ধ করতে অন্যপক্ষগুলো। হাউথিদের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদারে এসটিসি এবং হাদি বাহিনীর মধ্যে সমঝোতা অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

দক্ষিণ ইয়েমেন নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করতে চায় এসটিসি। এপ্রিলে ওই অঞ্চলে নিজেদের শাসন ব্যবস্থা ঘোষণা করে তারা। যার কারণে ইয়েমেনে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির লক্ষে জাতিসংঘের উদ্যোগ স্থবির হয়ে পড়ে।

ইয়েমেনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সরকার এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় বিদ্রোহীগোষ্ঠী এসটিসি’র মধ্যে সমঝোতার করার জন্য গেল দেড় বছর ধরে চেষ্টা করে সৌদি জোট। গেল মাসে দু’পক্ষের মধ্য ক্ষমতা ভাগাভাগির ভিত্তিতে নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠনের ঘোষণা দেয় জোট। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.