ইসফাহান কেন ইসরায়েলের টার্গেট, পাত্তা দিচ্ছে না ইরানি মিডিয়া

 

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ইসরাইলকে তথ্য ও মারাত্মক অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে। যার প্রেক্ষিতে ইসরাইল ইরানে হামলার করার সাহস দেখালো। এই হামলার পর উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি। ইরান পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অন্যদিকে মিশর, সৌদি আরব ও জর্দান এখন কি করে সেটাই দেখার বিষয়।
এদিকে দখলদার ইসরাইল কেন ইরানের ইসফাহানকে টার্গেট করতে চাইছে? এ বিষয়ে আলজাজিরা বলছে, শহরটিকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ইরানের একটি প্রধান সামরিক বিমান ঘাঁটি ছাড়াও দেশটির ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির কেন্দ্রস্থল নাতাঞ্জ শহরসহ বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে এ প্রদেশটিতে। নিকটবর্তী শহর নাতাঞ্জ ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ স্থাপনার কেন্দ্র।
ইসফাহানের তাৎপর্য এবং কেন ইসরাইল এটিকে হামলার স্থান হিসাবে বেছে নিয়েছে, সে সম্পর্কে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন সাবেক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক কিমিট। তিনি বলেন, ইসফাহান সত্যিই অনেকাংশে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। প্রশিক্ষণ, গবেষণা এবং কেউ কেউ বলেন ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতার বিকাশ ঘটেছে এখানে। সুতরাং এটি একটি সম্ভাব্য স্থান যেখানে ইসরায়েল আঘাত করবে। কারণ ইসরায়েলিদের সবচেয়ে বড় ভয় আজকের অব্যাহত ক্ষেপণাস্ত্র নয় বরং আগামীকালের ইরানের একটি পারমাণবিক সক্ষমতা।
মার্কিন কর্মকর্তারা শুক্রবার দেশটির গণমাধ্যম সিবিএসকে বলেছেন, ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত করেছে। তবে হামলার মাত্রা, সঠিক লক্ষ্যবস্তু এবং তা সেই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইরানি গণমাধ্যমগুলো এ ঘটনাকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি জানায়, স্থানীয় সময় ভোর ৪টার পর ইসফাহান শহরের কাছে তিনটি ছোট অজানা উড়ন্ত বস্তুকে গুলি করা হয়। ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এসব উড়ন্ত বস্তুকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।
ইসফাহান প্রদেশে ইরানের একটি প্রধান সামরিক বিমানঘাঁটি ছাড়াও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির কেন্দ্রস্থল নাতাঞ্জ শহরসহ বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে।
এখানে সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে এফ-১৪ টমক্যাট জঙ্গি বিমানের একাধিক স্কোয়াড্রন রয়েছে। এই ঘাঁটিটি ইসফাহান বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত। এ কারণে ইরানের কর্মকর্তারা এখন আকাশ পরিষ্কার করেছেন। এদিকে ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তাবরিজ শহরের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও সক্রিয় ছিল।
ইরানের বিমানবন্দর এবং এয়ার নেভিগেশন কোম্পানির মতে, তেহরান, ইসফাহান এবং শিরাজ বিমানবন্দরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। ইরানের বার্তা সংস্থা জানায়, বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রও সক্রিয় করা হয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.