ইরানের ইসফাহান শহর যে কারণে এতো গুরুত্বপূর্ণ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাফাভি রাজবংশের শাসনামল (১৫৯৮-১৭৩৬ সাল) ইসফাহান ছিলো পারস্যের রাজধানী। শাহ আব্বাস এটিকে রাজধানীতে পরিণত করেন। পরে সপ্তদশ শতাব্দীতে শহরটি সংস্কার করা হয়। যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহরগুলোর একটি হয়ে ওঠে।
ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের এলাকা নকশ-ই জাহান স্কয়ারের অবস্থান ইসফাহানে। ১৫৯৮ থেকে ১৬২৯ সালের মধ্যে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাচীন স্কয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর পরেই গ্র্যান্ড বাজার অবস্থিত। এটি মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে পুরোনো ও বড় বাজারগুলোর একটি।
ইরানের প্রধান পারমাণবিক কেন্দ্র নাতাঞ্জের অবস্থান এ ইসফাহান শহরে।
ইসফাহান প্রদেশে একটি ইরানী সামরিক বিমানঘাঁটি রয়েছে, যেখানে এফ-১৪ টমক্যাট যুদ্ধ বিমানের একাধিক স্কোয়াড্রন আছে। এছাড়া শহরটিতে সামরিক গবেষণা ও উন্নয়ন সুবিধা এবং ঘাঁটিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। এর নিকটবর্তী শহর নাতাঞ্জ দেশটির পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ সাইটগুলোর একটি। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) নিশ্চিত করেছে, সর্বশেষ হামলায় (শুক্রবারের হামলায়) ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতেও ইসফাহানে ইরানি সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন একটি সামরিক কারখানায় কয়েকটি ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়।
বর্তমানে ইরানের তৃতীয় সর্বোচ্চ জনবহুল শহর ইসফাহান। এখানে ২২ লাখ মানুষের বসবাস। অপর দুই জনবহুল শহর হলো বর্তমান রাজধানী তেহরান ও মাশহাদ। আবার বৃহত্তর ইসফাহান প্রদেশের জনসংখ্যা ৪০ লাখ। সেদিক থেকে এটি আধুনিক ইরানের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেট্রোপলিটন এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.