ইরাকে পোপ, নিরাপত্তার চাদরে বাগদাদ

(ইরাকে পোপ, নিরাপত্তার চাদরে বাগদাদ–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মহামারির ঝুঁকি এবং নিরাপত্তা উদ্বেগ মাথায় নিয়েই ইরাক সফর করলেন ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।
গতকাল শুক্রবার (০৫ মার্চ) অল ইটালিয়ার একটি উড়োজাহাজে বাগদাদ পৌঁছান তিনি। পরে এক অনুষ্ঠানে সব পক্ষকে সহিংসতা ও উগ্রবাদ পরিহারের আহ্বান জানান তিনি। করোনা মহামারি শুরুর পর এটা পোপ ফ্রান্সিসের প্রথম আন্তর্জাতিক সফর।
প্রথমবারের মতো ইরাকে সফরে যাওয়া ক্যাথোলিক নেতা পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে দেশটির শিয়া মুসলমানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ আলী সিসতানি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার (০৫ মার্চ) দুপুর দুইটায় বাগদাদের মাটিতে প্রথমবারের মতো পা রাখেন ক্যাথোলিক খ্রিষ্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় তাকে স্বাগত জানান ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল কাদহিমি।
পরে মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে যান পোপ। প্রেসিডেন্ট ভবনে আরেক দফা রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনার পাশাপাশি দেয়া হয় গার্ড অব অনার।

২০১৩ সালে পোপ হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার পর এটিই তার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সফর। এ সফরকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয় গোটা বাগদাদ। মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য। কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে ২৪ ঘণ্টার জন্য জারী করা হয় কারফিউ। পরে ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের একটি গির্জায় প্রার্থনায় অংশ নেন। সেখানে দেয়া বক্তব্যে ধর্মীয় ও জাতিগত সহিংসতা পরিহার করে শান্তির ডাক দেন পোপ।

প্রথমবারের মতো ইরাকে সফরে যাওয়া ক্যাথলিক গির্জার নেতা পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে দেশটির শিয়া মুসলমানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা গ্রান্ড আয়াতুল্লাহ আলী সিসতানির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

আজ শনিবার (০৬ মার্চ) পবিত্র শহর নাজাফে তাদের বিরল সাক্ষাৎ হবে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.