ইনোভেটিভ ইয়ুথরাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নেতৃত্বে দিবে : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজকের ইনোভেটিভ ইয়ুথরাই আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নেতৃত্বে দিবে উল্লেখ করে বলেন তরুণদেরকে ভবিষ্যতে অন্টারপ্রেনিয়র এবং ইনোভেটর হিসেবে তৈরির করার লক্ষ্যে দেশের ৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার (আরআইসি) স্থাপন করা হচ্ছে। তরুণরা এসব সেন্টার থেকে তাদের রিসার্চ এবং প্রোডাক্ট ডেভেলপ করতে পারবে।
তিনি বলেন, ইনোভেশন মানে প্রজেক্ট কিংবা টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট করাই নয়, ইনোভেশন মানে অনেকসময় ফিলোসফি ডেভেলপ করাও। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ফিলোসফি ও ‘মহাত্মা গান্ধীর অহিংস রাজনৈতিক’ ফিলোসফি এটাও ইনোভেশন।
প্রতিমন্ত্রী আজ রবিবার (০৫ মার্চ) আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে ইউনাইটেড ন্যাশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ (ইউএনডিপি)’র উদ্যোগে “ডিজিটাল খিচুড়ি চ্যালেঞ্জ ২০২২” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিত কুমার, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, নরওয়ে দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন সিলজে ফাইন ওয়াননিবো এবং ডিজিটাল খিচুড়ি চ্যালেঞ্জের আহ্বায়ক এবং ইউএনডিপি’র প্রকল্প পরিচালক রবারর্ট স্টলেন।
পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সহনশীল, প্রগতিশীল ও সৃজনশীল এবং সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল সমাজ গঠনে আমাদের তরুণদের মধ্যে যে অদম্য স্পৃহা আছে তাতে আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না উল্লেখ করে বলেন ২০৪১ সাল নাগাদ আমরা গড়ে তুলবো একটি প্রগতিশীল ও সৃজনশীল স্মার্ট বাংলাদেশ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কেবল শিক্ষিত হলেই হবে না। শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মকে মানবিক, নৈতিক ও মূল্যবোধের শিক্ষায় জাগ্রত ও সচেতন হতে হবে। তিনি সবাইকে শান্তিপূর্ণ মানবিক বিশ্ব গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরাও প্রতিটি নাগরিক একেক জন মানবিক নাগরিকে পরিণত হবো। অন্যের দুঃখে দুঃখী হবো, অন্যের কষ্টে সমব্যথী হবো। এটাই একজন নাগরিকের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। প্রতিমন্ত্রী বিজয়ী ৭ উদ্ভাবককেই কারওয়ান বাজারের ভিশন টাওয়ারে কো-ওয়ার্কিং স্পেস এবং আইডিয়া ও স্টার্ট-আপ বাংলাদেশ থেকে অর্থায়ন সহায়তা করার ঘোষণা দেন।
পরে প্রতিমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
উল্লেখ্য, ধর্মীয় সম্প্রীতি থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক ভিন্নতা এবং ডিজিটাল স্পেসে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির উদ্ভাবনী চ্যালেঞ্জ ‘ডিজিটাল খিচুড়ি চ্যালেঞ্জ- ২০২২’ পর্বে যৌথভাবে সেরা উদ্ভাবনী উদ্যোগের পুরস্কার জিতেছে ‘ডিজিটাল পিস কিপার’ এবং টংগের গান।
টিকটক, রিল, কৌতুক এবং ইলাস্ট্রেশনের মাধ্যমে গুজব, ডিজিটাল হয়রানি, সাইবার বুলিং, ধর্ম ও জাতিগত সহিংসতার বিরুদ্ধে শান্তির বার্তা ছড়াতে কাজ করে ডিজিটাল পিস কিপার। আর বাউল, মুর্শিদীর মতো ফোক গানে গানে ডিজিটাল স্পেসে একটি স্বতন্ত্র সহনশীল সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল গড়ে তুলতে চায় টংগের গান।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.