ইতালিতে ১ কোটি ৬০ লক্ষ নাগরিককে বাধ্যতামূলক ”কোয়ারেনটাইনে”

ছবি: সংগৃহীত

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইতালির লম্বার্ডি অঞ্চল এবং ১৪টি প্রদেশে কমপক্ষে ১ কোটি ৬০ লক্ষ নাগরিককে বাধ্যতামূলক কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে। এই অবস্থা আগামী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত জারি থাকবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের নাটকীয় প্রাদুর্ভাবের কারণে জিমনেশিয়াম, পুল, জাদুঘর ও স্কি রিসোর্টগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নতুন পদক্ষেপগুলো বাণিজ্যিক কেন্দ্র মিলান ও পর্যটন শহর ভেনিসে আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে ইতালি। গতকাল শনিবার (০৭ মার্চ) এই ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আগের যেকোনো দিনকে ছাড়িয়ে গেছে।

বর্তমানে করোনাভাইরাসে ইতালিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৫০ জনেরও বেশী। গতকাল শনিবার (০৭ মার্চ) আক্রান্তের সংখ্যা ১২শ’ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৮৩ জনে।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, লম্বার্ডির পুরো উত্তর অঞ্চলে ১ কোটি মানুষের বাসস্থান। তাই ইতালির আর্থিক কেন্দ্র মিলান জরুরি প্রবেশাধিকার ব্যতীত বন্ধ থাকবে এবং ভেনিস, পারমা এবং মোডেনাসহ ১৪টি প্রদেশও একই পদক্ষেপের অধীনে থাকবে।

ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলো হলো- মোডেনা, পারমা, পিয়াসেনজা, রেজিও এমিলিয়া, রিমিনি, পেসারো এবং উরবিনো, আলেসান্দ্রিয়া, আস্তি, নোভারা, ভারবানো কুসিও ওসোলা, ভেরসেলি, পদুয়া, ট্রেভিসো এবং ভেনিস।

কোয়ারেনটাইন সম্পর্কে সরকারি নির্দেশনার খসড়া প্রকাশ করেছে ইতালির স্থানীয় দৈনিক ক্যারিয়ার ডেলা সেরা।

এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নেয় ইতালি। তখন বলা হয়, মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সবগুলো স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়।

কয়েকদিন আগে একটি ভিডিওতে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতে জানান, দর্শক ছাড়াই পেশাদার ফুটবল ম্যাচ ও বড় খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। স্টেডিয়ামে কোনো দর্শক থাকবে না।

এদিকে, শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে নতুন নির্দেশিকা মেনে চলতে নাগরিকেরা দায়িত্বশীল আচরণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ইতালীর প্রধানমন্ত্রী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.